ভুয়ো ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পেলেন কেকে, যাচাই না করেই শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি নরেন্দ্র মোদীর!

কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফেও আদৌ এই পুরস্কার দেওয়া হয়নি।কিন্তু মোদীর দফতর সে খবর রাখেনি।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

টানা ২৬ বছর ধরে ছায়াছবির জগতে তাঁর অবদানের জন্য ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন অভিনেতা কেকে মেনন। নেটমাধ্যমে সেই খবর জানান অভিনেতা নিজেই। তবে নাম এক হলেও দেখা যাচ্ছে, এই পুরস্কার আসলে ভারতীয় সিনেমার সেরা সম্মান ‘দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার’ নয়। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফেও আদৌ এই পুরস্কার দেওয়া হয়নি।কিন্তু মোদীর দফতর সে খবর রাখেনি। মোদী স্বয়ং এই পুরস্কার পাওয়ার জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অভিনেতা কেকে-কে।

‘দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ড’ আর ‘দাদাসাহেব ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’ তো এক নয়। সেটা খতিয়ে না দেখেই প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানো হল কেকে-কে? নাকি সব জেনেই প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে কেকে মেননকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো হয়েছে? বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের চোখ এড়িয়েই বা গেল কী করে?

আরও পড়ুন: বিমানসেবিকা, মডেল থেকে বিজেপি যুব মোর্চার নেত্রী, কে এই পামেলা গোস্বামী?

একথা শুনে অনেকে বলেছেন, এতে অবাক হবার আছেতাই বা কি ? প্রধানমন্ত্রী ১৯৮৬ সালে ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহার করতেন! তিনি নিজে মুখে চ্যানেলে বসে সেকথা বলেছেন। অথচ তখন ডিজিট্যাল ক্যামেরার জন্ম হয়নি। তার ধারণা মেঘ থাকলে রাডারে তা ধরা পরে না। সেটাও তিনি বলেছেন প্রকাশ্যে টিভিতে। বীজগণিতের যে ফর্মুলা তিনি বলেছেন, তেমন কোনো ফর্মুলা গণিতে নেই।তিনি নিপাট ‘এন্টারটেইনার’। তাই কেকেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি আলাদা করে নতুন কোনোও খিল্লি করেননি।

রাজা যেমন হন, তার পারিষদরাও তেমন হয়। মোদী জমানায় কারো সিরিয়াসনেস নেই। সবটাই যেন কপিল মিশ্র্রের শো। সবাই জানে শেষ পর্যন্ত ‘ভারত মাতা কি জয়’ কিংবা জয় শ্রীরাম স্লোগান দিলেই হবে। বিরোধীদের গালাগালি করলেই চলবে। সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। ইভিএম নিয়ে মামলা শুনতে সুপ্রিম কোর্ট রাজি নয়। বহু রাষ্ট্রায়াত্ত কোম্পানি রয়েছে। যা কিনে নেবার জন্য হাতে গোনা কয়েকটা কোম্পানি মুখিয়ে রয়েছে।

তাহলে মোদী সরকারের অসুবিধা কোথায়। এত সিরিয়াস হয়ে আসলে কোনও লাভ নেই।মনমোহন সিং সিরিয়াস ছিলেন। পিএমও একই সঙ্গে সিরিয়াস ছিল। তারা ব্যাপারটাকে এমন মোটাদাগের বিনোদন করে তোলেননি। সে কারণেই জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে সবাই তার মুণ্ডুপাত করত। এখন সবাই সহ্য করে। কারণ সবাই জানে, মোদী বাবুকে এবং এভিএমকে সহ্য করা ছাড়া দেশবাসীর হাতে কিছু নেই।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কারের তালিকায় ভারতীয় ছবির বাঘা বাঘা ব্যক্তিত্বের নাম রয়েছে। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজ কপূর, সত্যজিৎ রায়, দিলীপ কুমার, মনোজ কুমার, দেব আনন্দ, মৃণাল সেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অমিতাভ বচ্চন।

আরও পড়ুন: নববধূর সাজে নজর কাড়লেন ‘কৃষ্ণকলি’ তিয়াসা, দেখুন ভিডিও…

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest