ভাঙল ঘুম? ২ শাহি স্নানের পর ‘প্রতীকী’ কুম্ভমেলার আর্জি মোদীর

দ্বিতীয় শাহি স্নান হওয়ার পর করোনার বিরুদ্ধে ‘লড়াইয়ের’ জন্য এবার 'প্রতীকী' কুম্ভমেলা করার আর্জি জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কুম্ভমেলায় লাগামছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর কি অবশেষে হুঁশ ফিরল কেন্দ্রের? দ্বিতীয় শাহি স্নান হওয়ার পর করোনার বিরুদ্ধে ‘লড়াইয়ের’ জন্য এবার ‘প্রতীকী’ কুম্ভমেলা করার আর্জি জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

শনিবার নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী মোদি লেখেন, “দুটো শাহী স্নান হয়ে গিয়েছে। এবার আমার প্রার্থনা যে করোনা মহামারীর কথা মাথায় রেখে প্রতীকী কুম্ভমেলা পালন করা হোক। এর ফলে এই সংকটের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি পাওয়া যাবে।” নিজের টুইটারে প্রধানমন্ত্রী আরও লেখেন, “আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর পূজ্য স্বামী অবধেশানন্দ গিরি জির সঙ্গে আজ ফোনে কথা বলেছি। সমস্ত সন্তদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছি। প্রশাসনের সঙ্গে সন্ন্যাসীরা সহযোগিতা করছেন। এর জন্য আমি তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছি।”

মোদীর আর্জিতে সাড়া দিয়েছেন স্বামী অভদেশ্যানন্দ। টুইটারে তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে আহ্বান জানিয়েছেন, তা আমরা সম্মান করি। ধর্মপ্রাণ জনতার প্রতি আর্জি যে করোনা পরিস্থিতিতে বড় সংখ্যায় তাঁরা যেন শাহি স্নানে না আসেন এবং নিয়মবিধি মেনে চলেন।’

আরও পড়ুন: ২৮ লক্ষ মানুষের জমায়েতে ‘সুপারস্প্রেডার’ কুম্ভমেলা! নিজামুদ্দিনের সঙ্গে তুলনাই হয় না, সাফাই মুখ্যমন্ত্রীর

এমনিতে করোনা মহামারীর চলতি বছর কুম্ভমেলা কাটছাঁট করা হয়েছে। যা গত ১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা ছিল। সাধারণত জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চলে এই কুম্ভমেলা। যা প্রতি ১২ বছরে একবার হয়। তা সত্ত্বেও লাগাতার বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত কয়েক সপ্তাহে সংক্রমিত হয়েছেন একের পর এক পুণ্যার্থী। করোনাবিধি মেনে চলার কথা বলেও আদতে সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পরার যাবতীয় নিয়মের তোয়াক্কা করা হচ্ছিল না। বিশেষত করোনা পরিস্থিতিতে ৪৮.৫১ লাখ মানুষের জমায়েত নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় উত্তরাখণ্ড এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে।

এদিকে, অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের সভাপতি নরেন্দ্র গিরি মহারাজও করোনা আক্রান্ত হয়ে আপাতত এইমসে চিকিৎসাধীন। গত এপ্রিল মাসের ১৩ তারিখ মধ্যপ্রদেশের মহা নির্বাণী আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী কপিল দেবের করোনাত মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে সন্তদের মধ্যেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস।

আরও পড়ুন: এবার ‘টার্গেট’ আগ্রা জামে মসজিদ! কৃষ্ণমূর্তি খুঁজতে পিটিশন আদালতে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest