নয়াদিল্লি: বিশেষজ্ঞদের মতে ভারতে শুরু হয়েছে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ। মারণ এই ভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার জেরেই করোনার সংক্রমণের নিরিখে ভারত বিশ্বে সপ্তম স্থানে পৌঁছে গিয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী সোমবার সন্ধে পর্যন্ত দেশে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ লক্ষ ৯০ হাজার ৫৩৫। দেশে করোনায় মৃত বেড়ে ৫৩৯৪। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইতিমধ্যেই দেশে শুরু হয়ে গিয়েছে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ। তার জেরেই দ্রুত বাড়ছে আক্রান্তের পরিমাণ।
অন্যদিকে, বিশেষজ্ঞরা এও জানাচ্ছেন, ডিসেম্বর মাসের মধ্যে দেশের জনসংখ্যার ৫০ শতাংশই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। জয়েন্ট কোভিড টাস্ক ফোর্স’ (JCTF)-এর ১৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের একটি দল গঠন করেছেন। এই দলে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিসিজ কন্ট্রোলের প্রাক্তন প্রধানও রয়েছেন। এই দলের মতেই গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে দেশে।
আরও পড়ুন: রাজ্য বিজেপির নতুন কমিটি, লকেটের জায়গায় অগ্নিমিত্রা, বড় দায়িত্বে সৌমিত্র খাঁ, ক্ষোভ দলের অন্দরে
জয়েন্ট কোভিড টাস্ক ফোর্স’-এর দলে রয়েছে ইন্ডিয়ান পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন, ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন এবং ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ এপিডেমিওলজিস্টস-এর সদস্যরা। গত এপ্রিল মাসে এই দলটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরা বলছেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার স্বীকার না করলেও ভারতের বিপুল পরিমাণে আক্রান্তের সংখ্যা এটাই প্রমাণ করছে যে এখানে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গেছে। এটাই করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ধাপ। এই পর্যায়ে ব্যক্তি কীভাবে সংক্রমিত হবেন তা বোঝা সম্ভব নয়। জয়েন্ট কোভিড টাস্ক ফোর্স’-এর একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভারত সরকার কি কোনও মহামারী বিশেষজ্ঞ বা এপিডেমিওলজিস্টের পরামর্শ নিয়েছে? যদি নিত তাহলে এই পরিস্থিতি অনেকটা ভালো হতে পারত।…’
এরই মধ্যে সোমবার থেকে দেশে শুরু হয়েছে আনলক. ১। অর্থনীতির হাল ফেরাতে স্বাভাবিক করা হচ্ছে সমস্ত পরিষেবা। শিথিল করা হয়েছে বেশির ভাগ নিয়ম। কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে কড়াকড়ি থাকলেও অন্যত্র পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। তবে তারই মধ্যে রোজ করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু বেড়ে চলার পরিসংখ্যানে উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: স্টেশনে শুয়ে থাকা মৃত মায়ের শিশুর দায়িত্ব নিলেন শাহরুখ খান,বললেন ‘মা হারানোর কষ্ট আমি জানি’