Site icon The News Nest

‘শিক্ষানীতিতে অতিরিক্ত সরকারি হস্তক্ষেপ নয়’,ঘোষণা করলেন মোদী

modi education

শিক্ষাকে অযথা সরকারি প্রভাব থেকে মুক্তই রাখতে চায় মোদী সরকার। নয়া শিক্ষানীতি বলতে গিয়ে সোমবার এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানান শিক্ষানীতিতে সরকারি হস্তক্ষেপ করা তাঁর উদ্দেশ্য নয়। সোমবার নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি বিষয়ে আলোচনার জন্য আয়োজিত রাজ্যপালদের সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি একথা জানান।

মোদী সরকারের অতিরিক্ত কেন্দ্রীকরণ ভাবনার বিরুদ্ধে বহুবার সরব হয়েছেন বিরোধীরা। মোদী জমানায় যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে পড়েছে বলে লাগাতার অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। মোদীর এমন নীতিমূলক ভাষণ কতটা বাস্তব হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন করছেন অনেকেই। কেউ কেউ বলছেন যারা রিজার্ভ ব্যাংকে ছাড়লো না তাদের বিশ্বাস করা মুশকিল। আসলে দেশের যে বেহাল অবস্থা ওরা করেছে সেখান থেকে একটা ভালো ভাবমূর্তি তৈরির চেষ্টা করছেন মোদী বাবু।এমনটাও অভিযোগ

আরও পড়ুন : এবার Vodafone Idea-র নাম বদলে হবে Vi

কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক আয়োজিত ‘উচ্চশিক্ষার সংস্কারে ২০২০-র জাতীয় শিক্ষানীতির ভূমিকা’শীর্ষক ভার্চুয়াল সম্মেলনে আজ ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘কেন্দ্র জাতীয় শিক্ষানীতিতে ন্যূনতম সরকারি হস্তক্ষেপ চায়।’’ তাঁর কথায়, ‘‘জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০ শিক্ষার্থীদের ক্ষমতায়নের সহায়ক হবে, দেশের আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নের নয়া দিশা দেখাবে।’’

মোদী এদিন বলেন, ‘‘শিক্ষানীতি এবং শিক্ষাব্যবস্থা দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণের অন্যতম হাতিয়ার। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার, স্থানীয় নির্বাচিত সংস্থা সকলেরই শিক্ষাক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দায়িত্ব রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে সরকারি হস্তক্ষেপ ন্যূনতম হওয়া প্রয়োজন। বিদেশ কিংবা প্রতিরক্ষা নীতি কিন্তু নিছক সরকারি বিষয় নয়, রাষ্ট্রের বিষয়। শিক্ষানীতিও আসলে তেমনই।’’

মোদী জামানায় আমদানি হল ‘নয়া জাতীয়তাবাদ’। মনুবাদের নামাবলীতে আশ্রয় নেওয়া এমন জাতীয়তাবাদ আগে দেখা যায়নি। জাতীয়তাবাদের নাম করে বিশেষ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিষ ছড়ানো হয়েছে। চেতনার কথা বললেই পাকিস্তান যাবার হুমকি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষায় গেরুয়াকরণের চেষ্টা জারি রয়েছে। রিজার্ভ ব্যাংকে কেন্দ্রের তাঁবেদার বানানো হয়েছে। তার মাঝে মোদী বাবু মাঝে মাঝেই বিবেকের বাণী শুনিয়েছেন। এসব বহুবার বলেছেন বিরোধীরা।তাদের অভিযোগ মোদির শিক্ষানীতি নিয়ে ভাষণও আসলে তেমনই। জিডিপি মাইনাসে। পিএম কেয়ারসের টাকায় অস্বচ্ছতা। চীন ইস্যুতে কোনঠাসা। সব মিলিয়ে এখন উদারতা প্রদর্শন ছাড়া উপায় নেই। সে কারণেই এমন ভাষণ।

আরও পড়ুন : #SaveTheCinemas: নতুন ভিডিওতে বার্তা SVF- এর, সঙ্গে নতুন ফিল্মের পসরা

Exit mobile version