Unlock 1: খুলছে ধর্মীয়স্থান, তবে প্রসাদ বণ্টনের ওপর থাকছে নিষেধাজ্ঞা, এক গুচ্ছ নিয়ম তালিকা প্রকাশ কেন্দ্রের…

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি: আনলক ওয়ানে ধর্মস্থান খোলা হবে বলে আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী ৮ জুন শনিবার থেকে খুলছে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকা ধর্মস্থানের দরজা। তবে সেখানে পূজা, উপাসনা, প্রার্থনা করতে যাঁরা যাবেন তাঁদের করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচতে অনেক নিয়ম মেনে চলতে হবে। নিয়ম মানতে হবে ধর্মস্থান কর্তৃপক্ষকেও। বৃহস্পতিবার সেই তালিকা প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় সরকার।

জুতো নিজের গাড়িতে রেখে আসতে বলা হয়েছে। গাড়ি না থাকলে পরিবারের লোকদেরই জুতোর পাহারা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কোনও মূর্তি, ধর্মীয় বই ইত্যাদি না ছুঁতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কয়্যার ও সিংগিং গ্রুপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তার জায়গায় ধর্মীয় গান চালানোর উপদেশ দেওয়া হয়েছে। 

একই আসনে বা মাদুরে সবাই মিলে বসে প্রার্থনা করতে মানা করা হয়েছে। বাড়ি থেকে আসন নিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রসাদ বিলি বা শান্তির জল ইত্যাদি দেওয়ার ওপর আপাতত নিষেধাজ্ঞা থাকল। 

সবাইকে মাস্ক পরে আসতে হবে উপাসনালয়ে। ধার্মিক স্থানের গেটে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে গাইইডলাইনসে। লাইনে দাড়ানোর সময় কম করে ছয় ফুটের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। যে সব ধর্মীয় স্থানে লঙ্গর ও অন্নদানের ব্যবস্থা আছে, সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। 

আরও পড়ুন: Unlock 1: রেস্টুরেন্ট ও শপিং মলে কী কী নিয়ম মানতে হবে, জেনে নিন নয়া নির্দেশিকা…

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় গাইডলাইন মেনে চলতে হবে। তাপমাত্রা রাখতে হবে ২৪ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে। সর্বত্র যাতে হাওয়া যাতায়াত করতে পারে সেই ব্যবস্থাও রাখতে হবে। বড় রকমের কোনও উৎসব, সমাবেশ বা জমায়েতের উপরেও থাকবে নিষেধাজ্ঞা।

কোনও ব্যক্তির শরীরে করোনা সংক্রমণের উপসর্গ দেখা গেলে কী কী করতে হবে?

(ক) সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কোনও ঘর বা এলাকায় আইসোলেটেড করতে হবে।

(খ) যতক্ষণ না চিকিৎসক দেখছেন ততক্ষণ যেন ওই ব্যক্তি মাস্ক বা ফেস কভার পরে থাকেন।

(গ) সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় হাসপাতাল বা ক্লিনিকে খবর দিতে হবে। ফোন করতে হবে রাজ্য বা জেলার হেল্পলাইন নম্বরে।

(ঘ) স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন এর জন্য কতটা ঝুঁকি রয়েছে এবং সেজন্য কী কী ব্যবস্থা নিতে হবে। ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন তাঁদের কী করতে হবে বা যেখানে ওই ব্যক্তি গিয়েছেন সেই জায়গা কী করে স্যানিটাইজ করতে হবে তা স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মীরাই বলবেন।

(ঙ) যদি ওই ব্যক্তির রিপোর্ট পজিটিভ আসে তবে গোটা এলাকা ডিসইনফেকশন করতে হবে।

আরও পড়ুন: শিশুর দুধ পৌঁছে দিতে চলন্ত ট্রেনের পিছনে দৌড় আরপিএফ কর্মীর, কুর্নিশ জানাল নেট নাগরিকরা

Gmail
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest