নয়াদিল্লি: কিছুদিনের মধ্যেই দেশের মধ্যে উড়ান পরিষেবা চালু করার কথা ভাবছে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। তবে যাবতীয় প্রটোকল মেনেই কাজ করবে সব বিমান বন্দর। যাত্রী সুরক্ষার স্বার্থেই বেশ কিছু নতুন নিয়ম আনতে চলেছেন তাঁরা।
বিমান চলাচল সম্পর্কিত সাধারণ কিছু নিয়মবিধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যেমন ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে কোনও ব্যক্তি বিমানে ভ্রমণ করতে পারবেন না। কেবিন লাগেজ নেওয়া যাবে না। চেক ইন ল্যাগেজ ২০ কেজির কম হতে হবে। এছাড়াও করোনার কোনও রকম সংক্রমণ থাকলে বিমানে চড়তে দেওয়া হবে না। বিমানে ওঠার আগে হবে যাবতীয় স্ক্রিনিং।
তাতে একথা বলাই যায়, সম্পূর্ণ ভাবে বদলে যেতে চলেছে আপনার বিমানযাত্রার অভিজ্ঞতা। করোনার জেরে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। তবে মিডল সিট ফাঁকা রাখার যে প্রাথমিক প্রস্তাব ছিল, সেটি বদল করেছে কেন্দ্র। এই খসড়া এসওপি সব স্টেকহোল্ডারদের কাছে পাঠানো হয়েছে যাদের সপ্তাহের শেষের আগে ফিডব্যাক দিতে বলা হয়েছে।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কী কী আছে খসড়া প্রস্তাবে-
বাড়িতে ওয়েব-চেক-ইন করে আসতে হবে।
আগামী ছয় ঘণ্টার মধ্যে যাদের ফ্লাইট তাদেরই শুধু এয়ারপোর্টে ঢুকতে দেওয়া হবে।
আইডি চেক করা হবে না বিমানবন্দরের গেটে
যাত্রীদের রিপোর্টিং টাইম আরও দুই ঘণ্টা বাড়িয়ে দেওয়া হবে, অর্থাত্ আরও দুই ঘণ্টা আগে আসতে হবে এয়ারপোর্টে।
হ্যান্ড লাগেজ নেওয়া যাবে না। একটা চেক-ইন লাগেজ নেওয়া যাবে ২০ কেজির কম ওজনের।
৮০ বছরের বেশি বয়সের নাগরিকদের আপাতত প্লেনে উঠতে দেওয়া হবে না।
MoCA issues SOP to all aviation stakeholders including airlines&airport operators before flight resumption. People above 80 yrs of age to be restricted from travel in phase I of flight resumption. No cabin baggage in initial phase, checked-in baggage to be only one piece(<20 kg). pic.twitter.com/B51Mpmiv7Z
— ANI (@ANI) May 12, 2020
জ্বর থাকলে যদি কোনও যাত্রীকে তাঁর নির্দিষ্ট দিনে যেতে না দেওয়া হয়, তিনি বিনাখরচে অন্য দিনে যেতে পারবেন।
আরোগ্য সেতু অ্যাপ বাধ্যতামূলক ভাবে ডাউনলোড করতে হবে। সেখানে গ্রিন দেখালেই বিমানে উঠতে পারবেন।
আরও পড়ুন: পাঁচটি স্তম্ভে ভিত্তি করে দিনবদলের ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী, জেনে নিন কি কি…
চেক-ইন-কাউন্টার যাত্রা শুরুর তিন ঘণ্টা আগে খুলতে হবে ও ৬০-৭৫ মিনিট আগে বন্ধ করতে হবে।
বোর্ডিং শুরু হবে ফ্লাইট ছাড়ার এক ঘণ্টা আগে ও কুড়ি মিনিট আগেই শেষ করতে হবে।
শুধু যাদের মেটাল ডিটেক্টরে লাল সঙ্কেত দেখাচ্ছে, তাদেরই সারা শরীরের তল্লাশি নেওয়া হবে।
আপাতত টিকিটে স্ট্যাম্প মারবে না সিআইএসএফ।
বোর্ডিংয়ের আগে ফের একবার যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা চেক করা হবে।
কোনও ভাবে সংক্রমণ যাতে না ছড়ায়, একই পাইলট ও কেবিন কর্মীদের একসঙ্গে রস্টার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
খাওয়ার দেওয়া হবে না। তবে জল দেওয়া হবে। কোনও ম্যাগাজিন, সংবাদপত্র দেওয়া হবে না।
বিমানের শেষ তিনটি সারি খালি রাখা হবে। প্রয়োজনে ফ্লাইটের মধ্যে আইসোলেশন করতে হলে ওই সিটগুলি ব্যবহার করা হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যানিটাইজার ও পিপিই স্যুট রাখতে হবে বিমানে।
আরও পড়ুন: Lockdown 4.0: নয়া রং আর রূপ নিয়ে আসছে লকডাউন ৪, জানালেন প্রধানমন্ত্রী