লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিক মৃত্যুর হিসেব নেই, তাই ক্ষতিপূরণের প্রশ্নই ওঠে না, স্পষ্ট জানিয়ে দিল কেন্দ্র

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

লকডাউনে (LockDown) সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি হয়েছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের। কাজ হারিয়ে বাড়ি ফিরে আসতে হয়েছে তাঁদের। ফেরার পথে একের পর দুর্ঘটনার মুখে পড়েছেন তাঁরা। প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই। লকডাউনের মাঝে কতজন পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Workers) মৃত্যু হয়েছে, তা জানেই না শ্রমমন্ত্রক (Ministry of Labour and Employment)। বাদল অধিবেশে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্তোষ কুমার গাঙ্গওয়াড় (Santosh Kumar Gangwar)।

সোমবার থেকে ১৮ দিনের জন্য শুরু হয়েছে বর্ষাকালীন অধিবেশন (Monsoon Session)। মহামারীর মাঝেই কোভিড সংক্রান্ত সমস্ত নিয়ম মেনে সকাল ৯ টায় লোকসভায় (Lok Sabha) অধিবেশন শুরু হয়। শোকপ্রস্তাবের পর একঘণ্টার জন্য অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়। পরে দেশের করোনা পরিস্থিতি, লকডাউন নিয়ে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। সেখানেই এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে।

আরও পড়ুন: ইরানে বাসমতি চালের বাজার হারাচ্ছে ভারত, দখল নিচ্ছে পাকিস্তান

লকডাউনের সময় বাড়ি ফেরার পথে কতজন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে, প্রতিটি রাজ্যে কতজন শ্রমিক ফিরেছে, সে সম্পর্কে কেন্দ্রের কাছে কি বিস্তারিত তথ্য আছে? লোকসভা অধিবেশন চলাকালীন শ্রম মন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর কাছে তা জানতে চাওয়া হয়। মৃত পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কি কোনও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করছে কেন্দ্র, তাও জানতে চাওয়া হয়। প্রশ্নের জবাবে শ্রম মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী সন্তোষ কুমার গাঙ্গওয়াড় জানান, লকডাউনের সময় কতজন শ্রমিক মারা গিয়েছে, তা নিয়ে কেন্দ্রের কাছে কোনও বিস্তারিত তথ্য নেই। তাই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কোনও প্রশ্নই উঠছে না।

কেন্দ্রীয় সরকার কি পরিযায়ীদের সমস্যা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছিল, সেই সংক্রান্ত প্রশ্নের সরাসরি জবাব আসেনি। বরং মন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গওয়াড় বলেন, ‘একটি রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, স্বাস্থ্য কর্মী, সাফাইকর্মী ও বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা একযোগে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় কাজ করছে ও দেশজুড়ে লকডাউনে সাড়া দিয়েছে৷’

তিনি সংসদকে জানান, মার্চ মাসে লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পরে প্রায় ১.০৪ কোটির বেশি পরিযায়ী শ্রমিক নিজেদের বাড়ি ফেরেন৷ এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশে ৩২.৪ লক্ষ, বিহারে ১৫ লক্ষ, রাজস্থানে ১৩ লক্ষ৷ ৪ হাজার ৬১১টিরও বেশি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন পয়লা মে থেকে চালিয়েছে রেল৷ ৬৩.০৭ লক্ষের বেশি পরিযায়ী শ্রমিককে তাঁদের বিভিন্ন রাজ্যে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে৷ রাজ্য ও কেন্দ্রী শাসিত অঞ্চলগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের দ্রুত শ্রম আইন অনুযায়ী আর্থিক সমস্যা থেকে রক্ষা করতে কাজের ব্যবস্থা করতে৷

আরও পড়ুন: বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট, দুষ্কৃতী হামলায় গুরুতর আহত সাংবাদিক

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest