সোমবারই রাজ্যে দুর্গাপুজোর গাইডলাইন জারি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এরই মধ্যে বড়সড় ঘোষণা করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। জানিয়ে দিলেন, এবার তাঁর রাজ্যে কোনও দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল হবে না। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্কও তৈরি হয়েছে।
সংক্রমণ ঠেকাতে এবার পুজোর জাঁকজমকেও কাটছাঁট করা হচ্ছে। মানতে হবে নানা বিধিনিষেধও। অসমে যেমন ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা অনুরোধ জানিয়েছেন, প্রতিমা পুজো না করে যেমন এটা ঘটেই পুজো সারা হয়। ওড়িশাতেও একাধিক বিধিনিষেধ মেনেই হবে দুর্গাপুজো।
আরও পড়ুন : মগডালে চেপে গাছ কাটছেন যুবক, দেখে নিন ভিডিও
আদিত্যনাথ জানান, রাজ্যের কোথাও দুর্গাপুজোর জন্য জমায়েত করা যাবে না। প্রয়োজনে বা ইচ্ছা থাকলে বাড়ির মধ্যেই পুজোর আয়োজন করতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এরপরই তিনি জানান, রাজ্যের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখেই কড়া কোভিডবিধি (COVID-19) মেনে রামলীলা আয়োজিত হবে। তাঁর এই ঘোষণার পরই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, রামলীলার আয়োজন সম্ভব হলে, করোনার গাইডলাইন মেনে দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল তৈরিতে আপত্তি কেন?
যোগী এদিন জানান, মহামারীর মধ্যে রামলীলা আয়োজিত হবে বলে সাধারণ মানুষকে মানতে হবে করোনা সংক্রান্ত সমস্ত সরকারি নির্দেশিকা। পাশাপাশি এও জানানো হয়, একসঙ্গে ১০০ জনের বেশি জনকে রামলীলা দেখার অনুমতি দেওয়া হবে না। বজায় রাখতে হবে সামাজিক দূরত্বও।
সেই একই কায়দায় যদি দূর্গা প্রতিমা দর্শন হয় তাতে যোগীর সমস্যা কোথায়? তবে একথা ঠিক রামকে নিয়ে যেভাবে রাজনীতি হয়, দুর্গাকে নিয়ে তা সম্ভব নয়। সম্ভবত সে কারণেই যোগী তেমন উৎসাহ পাচ্ছেন না। দশরত পুত্র রামকে নিয়ে গেরুয়া শিবির একটা সংকীর্ণ রাজনীতি শুরু করেছে বহু যুগ আগে থেকে। তবে যোগী-মোদীদের জমানায় তা ফলে -ফুলে বিকশিত হয়ে উঠেছে। বাঙালিরা সবার থেকে উপরে রাখেন দেবী দুর্গাকে। বাংলার সবথেকে বড় পুজো দূর্গা। এমনকি ভগবান রাম দুর্গার পুজো করেছেন। সেই রামের জন্য প্যান্ডেল হবে। কিন্তু দূর্গা বাদ। এই খবর বাংলার মানুষ ভালোভাবে নেয়নি।
আরও পড়ুন : কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা! কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে নয়া কৃষি আইন উপেক্ষার ডাক সোনিয়ার