বিহারে শেষ দফার নির্বাচনের আগে প্রচারে নেমে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনকে এ বার ‘মোদী ভোটিং মেশিন’ বলে খোঁচা দিলেন রাহুল। বুধবার একটি নির্বাচনী জনসভায় আত্মবিশ্বাসের সুরে রাহুলের দাবি, ‘ইভিএম হোক বা এমএমভি কোনওটাতেই আমি ভয় পাই না। বিহারে এনডিএ-র বিরুদ্ধে জোটের জয় হবে।’’
বিহারে বাকি এক দফার ভোট হবে আগামী ৭ নভেম্বর অর্থাৎ শনিবার। তার আগে এ দিন আরারিয়াতে জনসভা করেন রাহুল। মোদীকে নিশানা করে বলেন, ‘‘সত্য আসলে সত্যই। আমি এই মানুষটার বিরুদ্ধে আদর্শগত লড়াই চালাচ্ছি। আমরা ওদের আদর্শের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছি। আমরা ওদের হারাবই।’’
আরও পড়ুন : নির্বাসন অতীত, আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে নিজের সিংহাসন ফিরে পেলেন সাকিব আল হাসান
রাহুল আরও বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী জনসভায় আমার বিরুদ্ধে অপ্রীতিকর কথা বলছেন। তাঁরা যতই ঘৃণা ছড়ান না কেন, আমি ভালবাসা ছড়িয়ে যাব। কারণ ঘৃণা দিয়ে ঘৃণাকে জয় করা যায় না। ঘৃণাকে জয় করতে পারে একমাত্র ভালবাসাই। নরেন্দ্র মোদীকে না হঠানো পর্যন্ত আমি এক ইঞ্চি নড়ব না।’’
কংগ্রেসের অন্যতম সমস্যা হল কংগ্রেসও তাঁর লাইনে নেই। কংগ্রেস যদি বিজেপিকে নকল করতে চায় তাহলে তা তাদের জন্যই ক্ষতি। একথা স্পষ্ট বলেছেন দলের সাংসদ শশী থারুর। কংগ্রেসকে তাঁর জায়গা ঠিক রাখতে হবে। আজকাল ‘হিন্দুত্বের বাজার’ এই ভাবনা থেকে সরে আসতে হবে। বিজেপির গলায় যে সুর মানায় তা কংগ্রেসের গলায় মানায় না। কংগ্রেসকে আম জনতার সমস্যা নিয়ে বলতে হবে। কর্মসংস্থান নিয়ে বলতে হবে। বিজেপির অর্থনৈতিক তুঘলকিপনার বিরুদ্ধে বলতে হবে।
অথচ কংগ্রেস গর্ব করে হাস্যকরভাবে রামমন্দিরের কৃতিত্ব দাবি করতে চায়ছে। রাহুল গান্ধী মাঝেমধ্যে প্রমান করতে চান তিনি কতটা শিবভক্ত। এই খেলায় নরেন্দ্র মোদির কাছে তিনি শিশু। কারণ নরেন্দ্র আরএসএসের প্রোডাক্ট। তাঁকে ইটা কষ্ট করে করতে হয় না। তাঁর ভক্তরা তাঁকে কি কারণে পছন্দ করেন , তা তিনি ভালই জানেন।
শ্মশান ও কবরস্থানের যে তুলনা তিনি ইউপি বিধানসভা ভোটার সময় দিয়েছিলেন তা এমনি নয়। সিএএ নিয়ে যখন দেশ তোলপাড় ,তখন তিনি বলেছিলেন কারা আন্দোলন করছে, তা তাদের পোশাক দেখে বোঝা যাচ্ছে। এখন তিনি প্রীতির কথা বললেও ভক্তরা মনে করেন, এটা আসলে তাঁর মনের কথা নয়। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তিনি এমন প্রীতির কথা বলতে বাধ্য হচ্ছেন।
একথা অস্বীকারের উপায় নেই যে সেকুলার বলে দাবি করলে, কংগ্রেসের মধ্যে নরম হিন্দুত্ব বরাবরই ছিল। কিন্তু সেটাকে রাজনৈতিক সৌজন্য দিয়ে তারা ঢেকে রাখত। এখন কংগ্রেসের মুশকিল হয়েছে যে তারা দিক ঠিক করতে পারছে না। সে কারণেই এককথায় গণতান্তিক স্বেচ্ছাচার চালানোর পরও নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর টিম এমন আত্মবিশ্বাসী।
আরও পড়ুন : ৫৫-তেও তরুণ! জন্মদিনে গোয়ার সমুদ্র সৈকতে ‘নগ্ন’ দৌড় মিলিন্দ সোমানের