‘লাগবে না প্রেসক্রিপশন, যে চাইছে, তাঁরই টেস্ট করুন’, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নয়া নির্দেশিকা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কেউ চাইলে যাতে করোনা পরীক্ষা করতে পারে, তার জন্য রাজ্যদের ব্যবস্থা করতে হবে, বলে অ্যাডভাইসরি দিল আইসিএমআর। তবে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়নি, রাজ্যদের ওপর ছাড়া হয়েছে কে কেমন ভাবে টেস্ট করাবে। বিশেষত যারা বাইরে যাচ্ছেন বা অন্য রাজ্যে যাচ্ছেন, যেখানে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট লাগবে, সেখানে চাইলেই যাতে টেস্ট হয়, তার ব্যবস্থা করতে রাজ্যদের অনুরোধ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি।

দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণের সংখ্যা যেমন রোজই প্রায় রেকর্ড করছে, ঠিক তেমনই তার সঙ্গে পাল্লা  দিয়ে দৈনিক টেস্টিংয়ের সংখ্যাও বাড়ছে। দেশে ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে করোনা টেস্টিং নিয়ে আজ ফের একটি নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। নয়া এই নির্দেশিকায় সহজ সরল টেস্টিং পদ্ধতি ও প্রথমবার চাহিদা অনুযায়ী টেস্টিংয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টে উল্লেখ, গত দুদিনে দৈনিক প্রায় ১২ লাখ করে টেস্টিং হয়েছে সারা দেশে। এখনও পর্যন্ত সারা দেশে মোট টেস্টিং হয়েছে ৪ কোটি ৭৭ লাখ। দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছে দেশের ১,৬৪৭টি ল্যাবরেটরি।

এবার জাতীয় টাস্ক ফোর্সের সুপারিশ অনুযায়ী নয়া নির্দেশিকায় করোনা পরীক্ষা পদ্ধতি আরও সহজ করা হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যাতে সহজেই করোনা পরীক্ষা করতে পারেন, তাই সেবিষয়ে রাজ্যগুলির হাতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। চলুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক, নয়া নির্দেশিকায় কী কী বলা হয়েছে-

১) কনটেইনমেন্ট জোনে রুটিনমাফিক নজরদারি চালাতে হবে। ঢোকার সময় স্ক্রিনিং করতে হবে। Rapid অ্যান্টিজেন টেস্ট করতে হবে। RT-PCR পদ্ধতিতে অথবা ট্রুন্যাট কিংবা সিবিএনএএটি পদ্ধতিতে টেস্টিং হবে।

২) সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী ও কোভিডল যুদ্ধে যাঁরা প্রথমসারির যোদ্ধা, তাঁদের সবার টেস্টিং করতে হবে।

৩) পরিবারে কোনও বয়স্ক মানুষ থাকলে, যদি তাঁরা কোনও করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে এসে থাকেন, তবে পঞ্চম ও দশম দিনের মাঝে টেস্ট করতে হবে।

আরও পড়ুন: চুমু নৈব নৈব চ! সঙ্গম করুন মাস্ক পরে, পরামর্শ কানাডার সেরা ডাক্তারের

৪) কনটেইনমেন্ট জোনের বাইরে যাঁরা আছেন, তাঁদের মধ্যে যদি কেউ বিদেশ থাকে আসেন ও আসার ১৪ দিনের মধ্যে কোনও উপসর্গ দেখা দেয়, তবে টেস্ট করতে হবে।

৫) কেউ যদি বিদেশ ফেরত বা পরিযায়ী সংস্পর্শে এসে থাকেন ও তারপর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে ৭ দিনের মধ্যে টেস্ট করাতে হবে।

৬) ৬৫ বছর বা তার ঊর্ধ্বে যাঁদের বয়স, তাঁরা যদি কেউ উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসেন, তবে RAT পদ্ধতিতে টেস্ট করানো ভালো।

৭) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শ্বাসকষ্ট রয়েছে, এমন রোগীদের আগে টেস্ট করতে হবে। RAT বা RT-PCR পদ্ধতিতে এই টেস্টিং করতে হবে।

৮) উপসর্গ নেই, কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী যাঁদের ক্যান্সার রয়েছে বা অঙ্গ প্রতিস্থাপন হয়েছে, ৬৫ বছরের উপর বয়স, তাঁদের টেস্ট করানো বাধ্যতামূক।

৯) উপসর্গ নেই, কিন্তু কোনও অস্ত্রোপচার হয়ে থাকলে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় একবার টেস্ট করাতেই হবে।

১০) সমস্ত গর্ভবতী মহিলা যাঁদের প্রসবের সময় হয়ে গিয়েছে বা ইতিমধ্যেই প্রসবের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক।

১১) সদ্যোজাতদের মধ্যে যদি কোনও উপসর্গ থাকে, তবে অতি অবশ্যই দ্রুততার সঙ্গে তার টেস্ট করতে হবে।

১২) মোটের উপর নয়া নির্দেশিকায় মোদ্দা কথা হল, জনসাধারণের চাহিদা অনুযায়ী টেস্টিং করতে হবে। যে বা যাঁরা টেস্ট করাতে চাইবেন, তাঁদের প্রত্যেকের টেস্ট করতে হবে।

আরও পড়ুন: বীর্যেও এ বার মিলল করোনাভাইরাসের আরএনএ!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest