কৃষক ‘বিরোধী’ আইন আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার, এই অভিযোগে আচমকা মোদী মন্ত্রিসভা ছাড়লেন পঞ্জাবের অকালি দলের নেত্রী হরসিমরত কউর বাদল। যদিও এই বিলগুলি যে মন্ত্রিসভা বৈঠকে পাশ হয়েছিল, সেখানে উপস্থিত ছিলেন হরসিমরত। পরবর্তীতে দলেরই কৃষককর্মী সমর্থকদের চাপে, আচমকাই সুর বদল করল অকালি দল। তিনিই ছিলেন পঞ্জাবের একমাত্র কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
সংসদে কৃষি বিপণন সংক্রান্ত সংস্কার ঘিরে তিনটি বিল পেশ হয়েছে। এগুলির মধ্যে রয়েছে ফার্মার্স প্রডিউস ট্রেড অ্যান্ড কমার্স, এ ছাড়া দর সম্পর্কীয় নিশ্চয়তা ও কৃষি পরিষেবা সংক্রান্ত একটি বিল ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিষয়ক একটি বিল। যেগুলি নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে সংসদ। এই তিনটি বিল নিয়েই কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশ জুড়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন কৃষক এবং বিরোধী দলের নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: ‘প্রথমে ডিজিটাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণে গুরুত্ব দেওয়া দরকার’, সুপ্রিম কোর্টে বলল কেন্দ্র
বিজেপি দাবি করেছে, বিলগুলি কৃষিক্ষেত্রে বড়ো আকারের সংস্কার নিয়ে আসবে। যদিও এই বিলগুলি পঞ্জাব এবং হরিয়ানার কৃষকদের উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে। কয়েক সপ্তাহ ধরেই তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। কৃষি-বিপণন সংক্রান্ত বিলগুলি নিয়ে ইতিমধ্যেই তিনটি অধ্যাদেশ জারি করেছে মোদী সরকার। চলতি অধিবেশনেই সেগুলি পাশ করাতে মরিয়া বিজেপি। অন্য দিকে কংগ্রেস-সহ অন্য়ান্য বিরোধীদের দাবি, সরকারের নীতি মানলে খাদ্য সুরক্ষার শৃঙ্খল একেবারেই নষ্ট হয়ে যাবে। ক্ষতি হবে কৃষকদের।
তাঁদের আশঙ্কা, এই বিলগুলির হাত ধরে কৃষিপণ্যে কৃষকদের অধিকার কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে অকালি দল প্রাথমিক ভাবে বিলগুলিকে সমর্থন জানিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতি এবং কৃষকদের উদ্বেগের কারণে ভিন্নমত পোষণ করে। বিষয়টি আরও ভালো ভাবে খতিয়ে দেখার জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানায় তারা।যদিও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিং এই ইস্তফাকে স্রেফ ‘গিমিক’ হিসেবেই দেখছেন।
আরও পড়ুন: ৭১ ফুট দীর্ঘ কেক, ওজন ৭৭১ কেজি! প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে এলাহি আয়োজন সুরাটে