সংসদের বাইরে বিরোধীদের প্রতিবাদ, অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি রাজ্যসভা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

রাজ্যসভায় যেভাবে কৃষি বিল পাশ করা হয়েছে ও আটজন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তার প্রতিবাদে আগেই উচ্চকক্ষ এই অধিবেশের জন্য বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিরোধীরা। গত দুইদিনে বিরোধী শূন্য রাজ্যসভায় বেশ কয়েকটি বিল পাশ করিয়েছে সরকার পক্ষ। এদিন কোভিডের কারণে অধিবেশন অনির্দিষ্ট কালের জন্য মুলতুবি করে দেন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। নির্দিষ্ট সময়ের আটদিন আগেই শেষ হল রাজ্যসভার কাজ।

রাজ্যসভায় কংগ্রেসের চিফ হুইপ জয়রাম রমেশ বলেন যে কংগ্রেস ও সম মনোভাবাপন্ন দলগুলি এদিন বিক্ষোভ করছে। তিনি অভিযোগ করেন চাষী বিরোধী, মজদুর বিরোধী বিল কোনও আলোচনা ছাড়াই সংসদে পাশ করিয়ে নিচ্ছে মোদী সরকার। এছাড়াও রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদের ঘরে বসে বৈঠক আগামী রণনীতি ঠিক করার জন্য।

আরও পড়ুন : ৯ দিনের শাবককে মেরে খেল মা চিতা! বর্ধমান জুলজিক্যাল পার্ক কর্তৃপক্ষের দাবিতে শোরগোল

এদিন সকাল থেকেই রাজ্যসভায় ছিলেন না বিরোধীরা। সংসদের বাইরে মৌন প্রতিবাদে সামিল হন তাঁরা। মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি থেকে আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশ অবধি মিছিল করেন তাঁরা। এরপর সারিবদ্ধ হয়ে বিরোধী ঐক্যের বার্তা দিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন সাংসদরা। সেখানে ছিলেন কংগ্রেস, টিএমসি, বাম দল, আরজেডি, আপ, এসপি ও এনসিপি-র সাংসদরা।

বিলে সায় না দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে তদ্বির করতে চায় বিরোধীরা। তাঁদের সঙ্গে আজ দেখা করবেন রাষ্ট্রপতি, তবে কোভিডের জেরে তিনি মাত্র পাঁচজনকে আসতে বলেছেন।

এদিন রাজ্যসভায় এফসিআরএ বিল পাশ করানো হয় যেটি বিরোধীদের অভিযোগ এনজিও-দের টার্গেট করার জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে। অন্যদিকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শ্রম বিলও ফাঁকা রাজ্যসভায় পাশ করিয়ে নিয়েছে সরকার। বাদল অধিবেশনের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সংক্ষিপ্ত সময়ের রাজ্যসভা। এর আগে দুই বার ছয় দিন করে চলেছিল রাজ্য়সভা। এবার ১৮ দিনের জায়গায় চলল দশ দিন।

বাদল অধিবেশনের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সংক্ষিপ্ত সময়ের রাজ্যসভা। এর আগে দুই বার ছয় দিন করে চলেছিল রাজ্য়সভা। এবার ১৮ দিনের জায়গায় চলল দশ দিন। অনেকের অভিযোগ এই বিলগুলো পাশ করিয়ে নেবার জন্যই সংসদের অধিবেশন ডাকা হয়েছিল। সে কারণে বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব দেবার প্রয়োজন মনে করেনি মোদী সরকার। সরকারের কাজ শেষ। সরকার হয়ত চাইছে সংসদটাও ‘গেরুয়া জাতীয়তাবাদী’ সংবাদ সঞ্চালকদের অফিস হোক। তাতে প্রশ্নের জবাব দিতে হবে না।

আরও পড়ুন : TIME ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের তালিকায় এবার ‘শাহিনবাগের দাদি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest