Site icon The News Nest

প্রশাসনের অস্বস্তি! বন্ধ করে দেওয়া হল দেশের প্রথম সেক্স টয়ের দোকান

দীর্ঘস্থায়ী হল না। চালু হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তড়িঘড়ি বন্ধ করা হল দেশের প্রথম সেক্স টয়ের দোকান। স্থানীয় পঞ্চায়েতের দাবি, ট্রেড লাইসেন্স ছিল না দোকানটির। তবে, নিন্দুকের মতে, প্রকাশ্যে যৌন ক্রীড়ার সরঞ্জাম বিক্রিতে প্রশাসনের অস্বস্তির জেরেই এমন ঘটনা।

‘কামা গিজমোজ’ নামের দোকানটির ঠিকানা গোয়ার কালাঙ্গুটে সৈকত। চলতি মাসের শুরুতেই খোলে দোকানটি। আর দোকান খোলার সঙ্গে সঙ্গেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হু-হু করে ছড়িয়ে পড়ে ছবি। দুষ্টু ভাবনাকে নিয়ে এরকম খুল্লামখুল্লা ব্যবসা দেখে বেজায় মজা পান নেটিজেনরা।

আরও পড়ুন: আত্মহত্যা করলেন ববিতাদের বোন কুস্তিগীর রীতিকা ফোগত

‘দ্য পার্সোনাল’- এর প্রতিবেদন অনুসারে (জুলাই, ২০২০) ভারতে পোস্ট লকডাউন পরিস্থিতিতে সেক্স টয়ের বিক্রি বেড়েছে ৬৫ শতাংশ। যৌনতা সংক্রান্ত অন্যান্য অ্যাডাল্ট টয় এবং সেক্সুয়াল ওয়েলনেস প্রোডাক্ট- এর চাহিদাও বেড়েছে এ দেশে। ভারতীয় সমাজের এত ট্যাবু থাকার পরও এই পরিসংখ্যান দেখে চমকে গিয়েছেন অনেকেই। সারা দেশে অবশ্য অ্যাডাল্ট টয় বিক্রি মোটেও বেআইনি নয়। তবে আইনের বেড়াজালেই সেক্স টয় বা অ্যাডাল্ট টয় বিক্রি করা বেশ সমস্যাজনক হয়ে দাঁড়ায়। তবে এবার আইন মেনেই গোয়ায় সেক্সুয়াল ওয়েলনেস শপ খোলা হয়েছে।

তবে, বিষয়টিকে মোটেও ভাল চোখে দেখেননি স্থানীয়রা। ‘আমাদের কাছে স্থানীয়রা দোকানটির বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ করেছেন। তাছাড়া দোকানটির ট্রেড লাইসেন্স নেই। তাই আমরা দোকানটির সাইনবোর্ড খোলার নির্দেশ দিয়েছি। বন্ধ করতে বলা হয়েছে,’ জানালেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান।

স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, ‘আমার কন্ডোম বিক্রি নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। আমার যৌনপল্লি নিয়েও কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু, গ্রামের একদম মাঝখানে এরকম একটা দোকান কি খোলা উচিত্? এতে কি গোয়ার পরিচিতি আরও ভাল হবে? মহিলারা সুরক্ষিত বোধ করবেন?’

দোকানটির মালিকানা দুই ব্যবসায়ীর অধীনস্থ। তাঁরা এর আগে থেকেই সেস্ক টয়ের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। একজনের সংস্থা কামাকার্ট ও অপরজনের সংস্থা গিজমোজওয়ালা। দুটি সংস্থাই অনলাইনে ভালই ব্যবসা করে। তবে, দোকান এই প্রথম।

আরও পড়ুন: ”অন্তর্বাস পরেননি কেন?” সোশ্যালে মিডিয়ায় ট্রোলিংয়ের মুখে Darshana Banik

Exit mobile version