এ যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাঝখানে দিন দু’য়ের বিরতি, ফের মূল্যবৃদ্ধি, আবার দু’দিনের বিরতি। এই ‘রুটিন’ মেনেই শুক্রবার ফের বাড়ল পেট্রল-ডিজেলের দাম। এই নিয়ে চলতি মাসে দ্বিতীয়বার। মে মাসের শুরু থেকে ১৯ বার। সব মিলিয়ে মে মাসের পর থেকে ডিজেলের দাম বেড়েছে ৪ টাকা ৯৩ পয়সা। আর পেট্রলের (Petrol) দাম বেড়েছে ৪ টাকা ৩৬ পয়সা। একদিকে করোনায় (Coronavirus) মৃত্যুমিছিল। অন্যদিকে কাজ হারিয়ে পেটের টান। দেশের আমজনতা যখন অর্থনৈতিকভাবে খাদের কিনারে, তখনই জ্বালানির এই মূল্যবৃদ্ধি যেন মড়ার উপর খাড়ার ঘা। অথচ সরকার নির্বিকার। প্রতিবাদ নেই বিরোধী শিবির থেকেও।
এদিন ৪ জুন সরকারি তেল সংস্থাগুলি পেট্রোলের দাম (Petrol Price) ২৭ পয়সা প্রতি লিটার ও ডিজেলের দাম (Diesel Price) ২৮ পয়সা প্রতি লিটারে বৃদ্ধি করেছে ৷ এদিন দিল্লিতে পেট্রোলের দাম বেড়ে ৯৪.৭৬ টাকা এবং ডিজেল ৮৫.৬৬ টাকা প্রতি লিটার হয়ে গিয়েছে ৷ এর আগে ১ জুন পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছিল ৷
ইতিমধ্যেই জুনে দু’বার পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে ৷ মে মাসে ১৭ বার দাম বৃদ্ধি করা হয়েছিল৷ এর জেরে পেট্রোলের দাম প্রতি লিটারে ৪.১৭ টাকা বাড়ানো হয়েছে, ডিজেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে ৪.৬০ টাকা ৷ একাধিক শহরে পেট্রোলের দাম ১০০ টাকা পেরিয়ে গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন: ভোটে হেরে রাজ্যসভায় ‘ঘরওয়াপসি’ স্বপন দাশগুপ্তর, ‘১৯৫২ সাল থেকে বেনজির’, খোঁচা জয়রামের
দেখে নিন বিভিন্ন শহরে পেট্রোল ও ডিজেলের দামদিল্লি- পেট্রোল ৯৪.৭৬ টাকা, ডিজেল ৮৫.৬৬ টাকা,মুম্বই- পেট্রোল ১০০.৯৮ টাকা, ডিজেল ৯২.৯৯ টাকা,চেন্নাই-পেট্রোল ৯৬.২৩ টাকা, ডিজেল ৯০.৩৮ টাকা,কলকাতা-পেট্রোল ৯৪.৭৬ টাকা, ডিজেল ৮৮.৫১ টাকা,নয়ডা-পেট্রোল ৯২.১৪ টাকা, ডিজেল ৮৬.১৪ টাকা,ভোপাল-পেট্রোল ১০২.৮৯ টাকা, ডিজেল ৯৪.১৯ টাকা,লখনউ-পেট্রোল ৯২.০৪ টাকা, ডিজেল ৮৬.০৫ টাকা,বেঙ্গালুরু-পেট্রোল ৯৭.৯২ টাকা, ডিজেল ৯০.৮১ টাকা,পটনা- পেট্রোল ৯৬.৯০ টাকা, ডিজেল ৯০.৯৪ টাকা,চন্ডীগড়-পেট্রোল ৯১.১৪ টাকা, ডিজেল ৮৫.৩২ টাকা
প্রতিদিন সকাল ৬টায় পেট্রোল ও ডিজেলের দাম জারি করে থাকে সরকারি তেল সংস্থাগুলি ৷ জ্বালানির দাম ওয়েবসাইটে গিয়েও চেক করতে পারবেন ৷ এর পাশাপাশি মোবাইলে এসএমএস-এর মাধ্যমেও সহজে জেনে নিতে পারবেন পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ৷ এর জন্য RSP<স্পেস> লিখে 92249 92249 নম্বরে ম্যাসেজ পাঠাতে হবে ৷
প্রসঙ্গত, জ্বালানি তেলের উপর আলাদা আলাদাভাবে শুল্ক বসায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই বেশি কেন্দ্রের বসানো অন্তঃশুল্ক ও কর। করোনার প্রথম ধাক্কা আসার পরপরই কেন্দ্র জ্বালানি তেলের উপর অন্তঃশুল্ক অনেকটা বাড়িয়েছিল। যা পরে আর কমানো হয়নি। বরং কিছু কিছু রাজ্য সরকার নিজেদের মতো পদক্ষেপ করেছে জ্বালানির দাম কমানোর জন্য। কিন্তু তাতে কাজের কাজ খুব একটা হয়নি। প্রসঙ্গত, জ্বালানি তেলের উপর আলাদা আলাদাভাবে শুল্ক বসায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই বেশি কেন্দ্রের বসানো অন্তঃশুল্ক ও কর। করোনার প্রথম ধাক্কা আসার পরপরই কেন্দ্র জ্বালানি তেলের উপর অন্তঃশুল্ক অনেকটা বাড়িয়েছিল। যা পরে আর কমানো হয়নি। বরং কিছু কিছু রাজ্য সরকার নিজেদের মতো পদক্ষেপ করেছে জ্বালানির দাম কমানোর জন্য। কিন্তু তাতে কাজের কাজ খুব একটা হয়নি।
আরও পড়ুন: আরও অস্বস্তিতে রামদেব, এবার যোগগুরুর বিরুদ্ধে সমন জারি হাই কোর্টের