যাত্রা শুরু হয়েছিল মাত্র দু’লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে। কিন্তু দেশ-বিদেশ থেকে মাত্র পাঁচ দিনেই তাতে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি জমা পড়ে। তথ্য জানার আইনে এর আগে তথ্য দিতে অস্বীকার করলেও, অতিমারিতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য গঠিত ‘পিএম কেয়ার্স’ তহবিল নিয়ে এ বার এমনই তথ্য প্রকাশ করল প্রধানমন্ত্রীর দফতর।
করোনা সঙ্কট সামাল দিতে চলতি বছরের ২৭ মার্চ ‘পিএম কেয়ার্স’ তহবিলটি গঠন করা হয়। তার পর ৩১ মার্চ পর্যন্ত তাতে কত টাকা জমা পড়ে, ‘পিএম কেয়ার্স’ ওয়েবসাইটে সম্প্রতি তার হিসাব প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর।
আরও পড়ুন : এবার ফুটবল মাঠের গল্প বলবেন পরমব্রত! ১১ সেপ্টেম্বর ওটিটিতে মুক্তি পাচ্ছে ‘তিকিতাকা’
PM Cares Fund দেশ এবং বিদেশ থেকে এই মোট অনুদান পেয়েছে। অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩০,৭৬,৬২,৫৮,০৯৬ চুড়ান্ত ব্যালেন্স যা এই ফান্ডে জমা পড়েছে। এই অ্যাকাউন্ট প্রাইম মিনিস্টারের সিটিজেন অ্যাসিস্টেন্স এন্ড রিলিফ ইন ইমারজেন্সি সিচুয়েশনের সঙ্গে যুক্ত। তবে মার্চ মাসের পরে এই অ্যাকাউন্টে কত টাকা এসেছে সে বিষয়ে কোনও স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
বিরোধীদের একাধিক পিটিশনের এবং সমালোচনা এসেছে প্রধানমন্ত্রীর পিএম কেয়ারস ফান্ডের স্বচ্ছতা নিয়ে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং অনান্যমন্ত্রকের মন্ত্রীদের ট্রাস্টি হিসেবে রেখে এই ফান্ড তৈরি করা হয়েছে।
PM CARES FUND के ऑडिटर्स ने पुष्टि की है कि 26 से 31 मार्च, 2020 के बीच केवल 5 दिनों में फंड को 3076 करोड़ रुपये मिले।
— P. Chidambaram (@PChidambaram_IN) September 2, 2020
PM CARES FUND के ऑडिटर्स ने पुष्टि की है कि 26 से 31 मार्च, 2020 के बीच केवल 5 दिनों में फंड को 3076 करोड़ रुपये मिले।
— P. Chidambaram (@PChidambaram_IN) September 2, 2020
ওই পাঁচ দিনে জমা পড়া মোট টাকার হিসাব দেখানো হলেও, দেশ-বিদেশ থেকে যাঁরা ওই তহবিলে টাকা জমা দিয়েছেন, তাঁদের নাম ও পরিচয় খোলসা করেনি প্রধানমন্ত্রীর দফতর, যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম।
PM CARES FUND के ऑडिटर्स ने पुष्टि की है कि 26 से 31 मार्च, 2020 के बीच केवल 5 दिनों में फंड को 3076 करोड़ रुपये मिले।
— P. Chidambaram (@PChidambaram_IN) September 2, 2020
করোনার জেরে উদ্ভুত অতিমারি সামাল দিতে মার্চ মাসের শেষ দিকে প্রাইম মিনিস্টার্স সিটিজেন অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যান্ড রিলিফ ইন ইমার্জেন্সি সিচুয়েশন্স বা ‘পিএম কেয়ার্স’ ফান্ড বা তহবিল গঠন করে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। মূলত কোভিডের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্যই সেটি গঠন করা হয়। পদাধিকার বলে প্রধানমন্ত্রী ওই ফান্ডের চেয়ারম্যান এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী তহবিলের ট্রাস্টি হন।
আচমকাই ‘পিএম কেয়ার্স’ ওয়েবসাইটে পাঁচ দিনের হিসাব তুলে ধরা হল। তাতে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের যুগ্ম সচিব শ্রীকর কে পরদেশি ‘পিএম কেয়ার্স’-এর সচিব হিসেবে এবং গুজরাত ক্যাডারের আইএএস অফিসার তথা প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব হার্দিক শাহ তহবিলের ডেপুটি সচিব হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন।
দেশে যে কোনও ধরনের বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য জাতীয় ত্রাণ তহবিল (ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিলিফ ফান্ড বা এনডিআরএফ) থাকতে ফের কেন আরও একটি ফান্ড গঠন করা হল, তা নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন তুলে আসছেন বিরোধীরা। ‘পিএম কেয়ার্স’-এ জমা পড়া অর্থ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে হস্তান্তর করার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনও জমা পড়ে, শীর্ষ আদালতে যা খারিজ হয়ে যায়। জুন মাসে তথ্য জানার আইনে ওই তহবিল সম্পর্কে তথ্য চেয়ে আবেদন জমা পড়ে। কিন্তু ওই তহবিল নিয়ে কোনওরকম তথ্য দিতে অস্বীকার করে প্রধানমন্ত্রীর দফতর।
আরও পড়ুন :