রাম মন্দির-৩৭০ ধারা থেকে CAA, কেন্দ্রের একবছরের রিপোর্ট কার্ড পেশ করলেন প্রধানমন্ত্রী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি: দ্বিতীয় মোদী সরকারের এক বছর পূর্তিতে চিঠি লিখে দেশবাসীকে নিজের মনের কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই এক বছরে দেশ কোন কোন ক্ষেত্রে উন্নতি করেছে সে কথা উল্লেখ করার সঙ্গে করোনা সংক্রমণের জেরে ভিন রাজ্যের শ্রমিক, হকার ও ছোট পেশায় যুক্ত ব্যক্তিদের যে কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে, সে কথাও উল্লেখ করেছেন মোদী।

দ্বিতীয় দফায় প্রথম থেকেই একের পর এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র৷ তার মধ্য অন্যতম হল, জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ, অযোধ্যায় রামমন্দির, তিন তালাক, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ইত্যাদি৷ শনিবার কেন্দ্রীয় সরকারের একবছরের রিপোর্ট কার্ড পেশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ দেশবাসীকে খোলা চিঠিতে লিখলেন, গত এক বছরে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তগুলি ভারতকে বিশ্বনেতা তৈরির স্বপ্নকেই বাস্তবায়িত করেছে৷

দেশবাসীর উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, বিশ্বের দরবারে ভারতকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিতেই ২০১৯ সালে মানুষ ভোট দিয়েছিলেন৷ গত এক বছরে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি ভারতকে বিশ্বের নেতা করার স্বপ্নকে বাস্তব করেছে৷

জম্মু-কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বিলোপ ও জম্মু-কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা নিয়ে মোদীর কথায়, ‘৩৭০ ধারার বিলোপ দেশের জাতীয় ঐক্যকে আরও মজবুত করেছে৷’ অযোধ্যায় রাম মন্দির রায়ের ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, শতাব্দী প্রাচীন একটি বিতর্ক ও বিবাদের শান্তিপূর্ণ ভাবে সমাধান হয়েছে৷ প্রসঙ্গত, গতবছর বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের রাস্তা প্রশস্ত হয়েছে৷

আরও পড়ুন: পরিযায়ী শ্রমিকরা নিদারুন কষ্টে আছেন, সরকারের বর্ষপূর্তির দিন খোলা চিঠিতে স্বীকার প্রধানমন্ত্রী

তাত্‍ক্ষণিক তিন তালাক ইস্যুতে মোদী বলেন, ‘তিন তালাকের মতো বর্বরচিত আইন ইতিহাসের ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে৷’ তাত্‍ক্ষণিক তিন তালাক সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অপরাধ৷ ৩ বছর পর্যন্ত হাজতবাস হতে পারে৷এরপরেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) প্রসঙ্গ টেনেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ সিএএ-কে ভারতের সহানুভূতির প্রতিফলন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন তিনি৷

এছাড়াও একাধিক সিদ্ধান্তের তালিকা প্রস্তুত করে মোদী লিখছেন, দেশের উন্নতিতে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তগুলি অন্যমাত্রা দিয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের গরিব, কৃষক, মহিলা ও যুব সম্প্রদায়কে আরও শক্তিশালী করে তোলাই আমাদের প্রথম লক্ষ্য৷ প্রধানমন্ত্রী কিষাণ নিধির আওতায় এখন সব কৃষক রয়েছেন৷ মাত্র ১ বছরেই সাড়ে ৯ কোটি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৭২ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে৷’

জল জীবন মিশনের আওতায় গ্রামে পাইপ সংযোগের মাধ্যমে ১৫ কোটি গ্রামীণ পরিবার সর্বক্ষণ পানীয় জল পাচ্ছেন বলেও জানান তিনি৷ মোদী লিখছেন, ‘দেশের ইতিহাসে এই প্রথম কৃষক, খেতমজুর, ছোট দোকানি ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা ৬০ বছর বয়সের পরে মাসে ৩ হাজার টাকা করে পেনশন পাবেন৷ কেন্দ্রের উন্নয়নের যোগ্যে ১৩০ কোটি ভারতীয় জড়িয়ে৷ জনশক্তি ও রাষ্ট্রশক্তি মিলিয়ে গোটা দেশ আজ শক্তিশালী৷ সব কা সাথ, সব কা বিকাশ মন্ত্রেই দেশ এগিয়ে চলেছে৷’

গত বছর দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসাকে ভারতীয় গণতন্ত্রের এক স্বর্ণালি অধ্যায় বলে উল্লেখ করেছেন মোদী। তিনি বলেন, “অন্য সময় হলে আমি আপনাদের মধ্যে থাকতাম। কিন্তু এখন সেটা সম্ভব নয়। তাই চিঠি লিখেই আপনাদের আশীর্বাদ চাইছি।”

আরও পড়ুন: মোদীর জয়ের ভবিষ্যতবাণী! করোনা উপসর্গে মৃত্যু ‘তারকা’ জ্যোতিষী বেজান দারুওয়ালার

Gmail 3
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest