নয়াদিল্লি: ইতিমধ্যে ভারতে বিভিন্ন অর্থনৈতিক কাজকর্ম শুরু হয়েছে। আনলক-১ থেকে অর্থনীতির বেশিরভাগ অংশই খুলে যাবে। সেজন্য দেশবাসীকে আরও সতর্ক থাকতে হবে বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
রবিবার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে মোদী বলেন, ‘সবরকমের সতর্কতার সঙ্গে বিমান ওড়া শুরু করেছে, ধাপে ধাপে শিল্প চালু হয়েছে, মানে অর্থনীতির একটি অংশ খুলে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের আরও সজাগ থাকতে হবে।’ নিজের মাসিক রেডিয়ো অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘দু’গজ দূরত্বের নিয়ম থাকতে হবে এবং মানুষকে যতটা সম্ভব মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, বাড়িতে থাকুন। আপনাদের এগুলি পালন করতে হবে এবং তাতে কোনও ঢিলেমি রাখা চলবে না।’
আরও পড়ুন: ভয়াবহ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত তাজমহল, ভেঙে পড়ল একাংশ
লকডাউন শুরুর পর থেকে বহু পরিযায়ী শ্রমিককে হেঁটে বাড়ি ফিরতে দেখা গিয়েছিল। তার পর বাড়ি ফেরায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফিরে এসেছিল সেই একই ছবি। মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গবাদে রেললাইন ধরে হেঁটে ফেরার সময় রাতে রেললাইনের উপরেই ঘুমিয়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। রাতে তাঁদের পিষে দেয় ট্রেন। এ ছাড়া হেঁটে ঘরে ফিরতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে অনেকের। আবার শ্রমিক স্পেশাল চালু হওয়ার পর থেকে বহু মানুষ বাড়ি ফিরছেন। বাসে করেও ফেরানো হচ্ছে শ্রমিকদের। পরিযায়ীদের এই দুর্দশা নিয়েও এ দিন মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেন, ‘‘পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা অবর্ণনীয়। তাঁদের জন্য অনেক ব্যবস্থা করেছে সরকার।’’
গত ২০ মে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আমফান-এ লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ওড়িশাতেও। সেই বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ ওড়িশার মানুষ বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে লড়াই করছেন। আমি নিজে ঘুরে দেখেছি। বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। কৃষির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’’
কৃষিতে সঙ্কট দেখা দিয়েছে পশ্চিম ও মধ্য ভারতের চার-পাঁচটি রাজ্যে। হানা দিয়েছে কোটি কোটি পঙ্গপাল। তাদের হানায় একরের পর একর ফসল নষ্ট হচ্ছে। এই পতঙ্গবাহিনীর হানায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মোদী।
আরও পড়ুন: নয়া ইতিহাসের সাক্ষী! সাফল্যের সঙ্গে রওনা দিল ‘স্পেস এক্স’