Site icon The News Nest

সামনে এল নতুন সংসদ ভবনের ছবি, ১০ ডিসেম্বর শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী

new songsod

নতুন করে তৈরি করা হয়েছে সংসদ ভবন। আগামী ১০ ডিসেম্বর এই নতুন ভবনের শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা সব রাজনৈতিক দলের সাংসদদের। সরাসরি বা ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তাঁরা।

শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা জানান লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। তিনি বলেন, “আমরা স্বাধীনতার পরে পুরনো ভবনেই যাত্রা শুরু করেছিলাম। তাই স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ করব তখন আমরা দুই কক্ষের অধিবেশনই নতুন ভবনে করব। এটা শুধুমাত্র ইঁট ও পাথরের একটি ভবন নয়, এটি ১৩০ কোটি মানুষের স্বপ্ন পূরণের জায়গা।”

বিড়লা আরও বলেন, এই নতুন ভবন ভারতের মানুষের বৈচিত্র্য, উন্নত সংস্কৃতির পরিচয় বহন করছে এবং শিল্পকলা ও আধুনিক সুবিধার দিকে তা সবথেকে উৎকৃষ্ট। স্পিকার বলেন, “পুরনো সংসদ ভবন ১০০ বছর পুরনো হতে চলেছে। তাই আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে ১৩০ কোটি মানুষের কাছে এটা গর্বের বিষয় যে আমরাই এই নতুন ভবন তৈরি করেছি। ১০ ডিসেম্বর ১টার সময় এই নতুন ভবনের শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।” শনিবার প্রধানমন্ত্রীকে সরকারিভাবে এই অনুষ্ঠানের জন্য আমন্ত্রণও জানিয়েছেন স্পিকার।

আরও পড়ুন: দেশে আসছে ভ্যাকসিন,দাবি মোদীর,’আচ্ছে দিনের’ দুরাশা জনমনে

নতুন এই সংসদ ভবনে লোকসভা কক্ষে রয়েছে ৮৮৮টি আসন। অন্যদিকে রাজ্যসভা কক্ষে রয়েছে ৩৮৪টি আসন। পুরনো ভবনে এই আসন সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৫৪৩ ও ২৪৫। একসঙ্গে দুই কক্ষের অধিবেশনের সময় নতুন ভবনে লোকসভায় ১২২৪ জন সদস্য বসতে পারবেন। তবে নতুন ভবনে কোনও সেন্ট্রাল হল নেই। ৬৪ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটারের উপর তৈরি করা হয়েছে এই নতুন সংসদ ভবন। খরচ হয়েছে ৯৭১ কোটি টাকা। ভূমিকম্প প্রতিরোধী হিসেবে তৈরি করা হয়েছে এই ভবনকে। রয়েছে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা।

অতিমারির মোকাবিলা, অর্থনীতির সঙ্কটের মধ্যে এখন কেন নতুন সংসদ ভবন তৈরিতে টাকা ঢালা হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলে সনিয়া গান্ধী-সহ বিরোধী শিবিরের একাধিক নেতানেত্রী প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাঁদের তির ছিল মোদী সরকারের অগ্রাধিকারের দিকে। বিড়লা বলেন, নতুন সংসদ ভবন তৈরিতে সরাসরি ২০০০ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। পরোক্ষ ভাবে ৯০০০ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। বর্তমান সংসদ ভবন যে ব্রিটিশ জমানায় তৈরি হয়েছিল, তা মনে করিয়ে দিয়ে স্পিকার বলেন, ‘‘দেশের মানুষের জন্য গর্বের বিষয় হল, এই সংসদ ভবন দেশের মানুষের হাতেই তৈরি হবে। আত্মনির্ভর ভারতের প্রধান উদাহরণ হবে।”

বিজেপি সূত্রের খবর, ১৫ ডিসেম্বর থেকে হিন্দু পঞ্চাঙ্গ অনুযায়ী ‘খরমাস’ শুরু হয়ে যাচ্ছে। এই সময় কোনও শুভকাজ করতে নেই। ‘খরমাস’ শেষ হবে নতুন বছরের ১৫ জানুয়ারি, মকর সংক্রান্তির সময়। সেই কারণেই ১০ ডিসেম্বর দিনটিকে শিলান্যাসের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। টাটা প্রজেক্টস ও কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতর ইতিমধ্যেই নতুন সংসদ ভবনের কাজ শুরুর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। বর্তমান সংসদ ভবনের সামনে যে অংশে কাজ হবে, সেই এলাকাটি ঢেকে ফেলা হচ্ছে। শব্দ ও বায়ুদূষণ যথা সম্ভব কম রাখার জন্যই এই ব্যবস্থা।

আরও পড়ুন: কৃষক প্রতিবাদ মঞ্চে হিন্দুদের অসম্মান, যুবরাজের বাবার গ্রেপ্তার চাই, দাবি নেটদুনিয়ায়

 

Exit mobile version