প্রতিহিংসার রাজনীতি!‌ ‌দিল্লি হিংসার ঘটনায় চার্জশিটে নাম যোগেন্দ্র যাদব, ইয়েচুরি সহ ৫ বিশিষ্ট ব্যাক্তির

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

দিল্লির হিংসার (Delhi Violence) ঘটনায় এবার পুলিশের চার্জশিটে নাম উঠল CPIM-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechury), স্বরাজ অভিযানের নেতা যোগেন্দ্র যাদবের (Yogendra Yadav)। চার্জশিটে তাঁদের বিরুদ্ধে হিংসায় প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া চার্জশিটে নাম রয়েছে অর্থনীতিবিদ জয়তী ঘোষ (Jayati Ghosh), দিল্লি বিশ্ববিদ‌্যালয়ের অধ‌্যাপক অপূর্বানন্দ এবং তথ‌্যচিত্র নির্মাতা রাহুল রায়ের। দিল্লি পুলিশের দাবি, এঁরা ভারত সরকারের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করেছেন।

দিল্লির হিংসার পিছনে সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ছিল বলে আগেই দাবি করেছিল দিল্লি পুলিশ । সেই দাবি প্রমাণ করতে তিন ধৃত ছাত্রীর জবানবন্দির ভিত্তিতে এ দিন তারা অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করেছে। পুলিশের দাবি, ওই তিন ছাত্রী পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, নয়া নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ-র বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের ‘উসকানি’ দিয়েছিলেন জয়তীরা।

অমিত শাহর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন দিল্লি পুলিশের এই নতুন পদক্ষেপে বিরোধী শিবিরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ফেব্রুয়ারি মাসে ওই সংঘর্ষে সরকারি হিসেবেই ৫৩ জনের মৃত্যু হয়। কয়েকশো মানুষ আহত হন। বিরোধীদের অভিযোগ, সিএএ-র বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের সম্পর্কে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র উসকানিমূলক মন্তব্য করার পরেই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। সেই কপিলের বিরুদ্ধে পুলিশ এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এখন বিরোধী দলের নেতা থেকে সামাজিক আন্দোলনকারী, শিক্ষাবিদদের জড়াতে চাইছে তারা।

আরও পড়ুন: শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা! আবারও হাসপাতালে ভরতি অমিত শাহ, ছাড়া পেয়েছিলেন ১৩ দিন আগে

রাতে দিল্লি পুলিশ বিবৃতি দিয়ে বলে, ‘‘নিয়ম মেনেই ছাত্রীদের বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে। নিয়ম মেনেই চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। চার্জশিটে নাম থাকা মানেই কাউকে ‘অভিযুক্ত’ বলা নয়। তবে পরে উপযুক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ পেলে এঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

সংসদের বাদল অধিবেশন (Monsoon Session) শুরুর ঠিক দু’দিন আগে এই চার্জশিট ঘিরে রাজনৈতিক আলোড়ন শুরু হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই বিরোধীদের ‘টার্গেট’ করা হয়েছে। ইয়েচুরি বলেন, “দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীন এবং এটা বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের রাজনীতির বেআইনি পদক্ষেপের প্রত‌্যক্ষ ফল।” তিনি আরও বলেন, “মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলির বৈধ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখে ওরা ভয় পেয়েছে এবং বিরোধীদের লক্ষ্য করার জন্য রাষ্ট্রীয় শক্তির অপব্যবহার করছে।”

সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, “সরকার বিরোধী যে কোনও মতকে দমন করতে গুজরাত মডেলকে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ২০১৬ সাল থেকে শিক্ষার্থী, কৃষক, শ্রমিক, সাংবাদিক, সমাজকর্মী, বুদ্ধিজীবীদের কণ্ঠস্বর কঠোরভাবে দমন করা হচ্ছে। এখন বিরোধী দলের নেতাদের গায়েও দাঙ্গাকারীর তকমা লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, “যাঁদের চার্জশিটে নাম রয়েছে, তাঁদের পাশে রয়েছি। এখন যে সব প্রতারকেরা ক্ষমতায় রয়েছেন, তাঁদের থেকে এঁরা অনেক বেশি দেশভক্ত।”

আরও পড়ুন: চেক-আপের জন্য আমেরিকা গেলেন সনিয়া, সংসদের অধিবেশনে থাকছেন না মা-ছেলে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest