যাবজ্জীবন সাজা রদ, মুক্তি পেলেন জেসিকা লালের হত্যাকারী মনু শর্মা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি: সাজার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই জেসিকা লাল হ্ত্যা মামলার মূল অভিযুক্ত মনু শর্মার মুক্তির অনুমতি দিলেন দিল্লির উপরাজ্যপাল অনিল বৈজাল৷ জেসিকা লাল হত্যা কাণ্ডে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করছিলেন মনু শর্মা৷ ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত নির্দেশিকাও জারি হয়েছে৷

মনু শর্মার উকিল অমিত সাহনি বলেন যে রিভিড বোর্ডের বৈঠকে ১১ মে এই সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেটিতেই সম্মতি জানান এলজি ও তার ফলে ছাড়া পেল মনু শর্মা। ১৪ বছর জেলে থাকলে কিছু বিশেষ ধারায় দোষী বাদ দিলে বাকিরা মুক্তির জন্য আবেদন করতে পারে। নভেম্বের ২০১৯ এ মুক্তির জন্য দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করে মনু শর্মা। আবেদনে বলা হয় যে ২৩ বছর (রেমিশন নিয়ে) ধরে জেলে আছে ও সেখানে কোনও সমস্যা সৃষ্টি করেনি। তারপরেও বেআইনি ভাবে চারবার মনু শর্মার মুক্তির আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছে রিভিউ বোর্ড। 

রেমিশন বাদ দিয়ে ১৬ বছর জেলে ছিল মনু শর্মা। মনুর আবেদনে সাড়া দিয়ে দিল্লি হাইকোর্ট সেনটেন্স রিভিড বোর্ডকে ফের কেসটি পুনর্বিবেচনা করতে বলে। তারপরেই মনুর পক্ষে রায় দেয় রিভিউ বোর্ড।সিদ্ধার্থ বশিষ্ঠ ওরফে মনু শর্মা ৩০ এপ্রিল, ১৯৯৯-তে একটি পার্টিতে হত্যা করে মডেল জেসিকা লালকে। জেসিকার অপরাধ- সে মধ্যরাতের পর মদ দিতে অস্বীকার করে মনুকে। ওই পার্টিতে বার টেন্ডার হিসাবে কাজ করছিলেন জেসিকা।

আরও পড়ুন: ৮ জুন বাংলার জন্য ‘ভার্চুয়াল’ সভা অমিত শাহের, জেনে নিন কি কী কী থাকতে পারে ভাষণে

মনু শর্মা হল হরিয়ানার রাজনীতিবিদ বিনোদ শর্মার ছেলে। ২০০৬ সালে ট্রায়াল কোর্টে মনু খালাস পেয়ে যায়। এই নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হয় সারা দেশে। এরপর দিল্লি হাইকোর্টে মামলা ওঠে। সেখানে সেই বছরই দোষী সাব্যস্ত হয় মনু।২০১০ সালে রায় বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। 

তিহাড়ে জেলে একটি এনজিও চালায় মনু। সেটা বন্দিদের ছেলে মেয়েদের পড়াশুনোর দেখভাল করে। ২০১৮ সালে ওপেন প্রিজনে বদলি করা হয় মনুকে। সেখানে সারা দিন জেলবন্দি হয়ে থাকতে হয় না। সকালে বেরিয়ে কাজকর্ম করে বিকালে ফিরে আসা যায়। এই এনজিও-র কাজ মনুর মুক্তি পাওয়ায় বড় ভূমিকা নিয়েছে বলে সূত্রের খবর। 

মনুকে জেলে ভরার নেপথ্যে যার বড় হাত ছিল, জেসিকা লালের বোন সাবরিনাও তার মুক্তির সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। গত মাসেই তিনি বলেছিলেন যে মনুকে মুক্তি দিলে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। আমি বিচারের জন্য লড়েছিলাম, সেটা পেয়েছি, বলেন সাবরিনা। 

আরও পড়ুন: করোনা চিকিৎসায় ভারতে ব্যবহার হবে Remdesivir, অনুমোদন ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার

Gmail
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest