বেশ কিছুদিন ধরেই রেলে বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে চাইছে মোদী সরকার।ট্রেন চালাতে বেসরকারি সংস্থাকে ভার দেওয়ার সিদ্ধান্ত পাকা করে ফেলেছে মোদী সরকার। এ বার ওই সব সংস্থার হাতে দেওয়া হচ্ছে ভাড়া নির্ধারণ করার ক্ষমতাও। এবার সরকার জানাল, যে বেসরকারি সংস্থা ট্রেন চালাবে, তারা ইচ্ছামতো বিভিন্ন রুটে ভাড়া নিতে পারবে। রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব বলেন, “বেসরকারি সংস্থাগুলিকে ইচ্ছামতো ট্রেনের ভাড়া স্থির করার অধিকার দেওয়া হবে। তবে একই রুটে চলবে এয়ার কন্ডিশনড বাস ও প্লেন। ভাড়া স্থির করার সময় বেসরকারি সংস্থাকে একথা মাথায় রাখতে হবে।”
ভারতে প্রতিটি ট্রেন রোজ যত যাত্রী বহন করে তা অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যার সমান। দেশের দরিদ্র জনসংখ্যার এক বিরাট অংশ যাতায়াতের জন্য ট্রেনে চড়েন। বেশ কয়েক দশক ধরে নানা সমস্যায় পড়েছে ভারতীয় রেল। তাই ট্রেন চালানো থেকে স্টেশনের আধুনিকীকরণ, প্রতিটি বিষয়েই বেসরকারি পুঁজিকে আহ্বান করেছে মোদী সরকার। করোনা অতিমহামারীর ফলে এই প্রথমবার সংকুচিত হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। এই অবস্থায় সরকারের পক্ষে রেলের জন্য বেশি বরাদ্দ করা সম্ভব নয়। রেল পরিষেবা চালু রাখার জন্য বেসরকারি পুঁজি আহ্বানের সেটাও একটা কারণ।
আরও পড়ুন: ইলিশ পাঠিয়েও মিলছেনা পেঁয়াজ, ‘ভঙ্গ অলিখিত সমঝোতা’, অভিমান ঢাকার
যারা একেবারেই এখনও ভক্ত হয়ে যাননি, তারা মনে করতে পারবেন এই বেসরকারিকরণ নিয়ে মোদী ঠিক কি ভাষায় কংগ্রেসের বিরোধিতা করেছিলেন।অথচ এখন তিনি এখন সবকিছু বেসরকারি কোম্পানির কাছে তুলে দিতে চাইছেন। যার পোশাকি নাম দিয়েছেন ‘আত্মনির্ভর ভারত’।একথা মানতে হবে যে কংগ্রেস এমন নাম করেন করতে পারেনি। টাচ মোদী যদি নামকরণ করতে কোথাও হোঁচট খান,তাহলে যোগী তো আছেন।
প্রাথমিক ভাবে তালিকায় রয়েছে ১০৯টি রুট। তার জন্য বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে ১৫১টি ট্রেন। সরকারের এই সিদ্ধান্তে আপত্তি রয়েছে রেলকর্মী, অধিকাংশ বিরোধী রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের একাংশের। ওই অংশের যুক্তি, বেসরকারি হাতে ট্রেন চালানোর ভার দিলে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য ও পরিষেবার চেয়ে সংস্থাগুলির বেশি নজর থাকবে মুনাফা বাড়ানোর দিকে।বিমানের মতো রেলেও চালু হতে চলেছে ‘ইউজার ফি’।
আরও পড়ুন: আবার চিন! কোভিড অতিমারীর মাঝেই ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ, বন্ধ্যাত্বের মুখে কয়েক হাজার পুরুষ