বাবরি ধ্বংসে আডবানি-সহ BJP নেতাদের বিরুদ্ধে রায় দিতে হবে সেপ্টেম্বরের মধ্যে : সুপ্রিম কোর্ট

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলি মনোহর যোশী ও উমা ভারতীদের বিরুদ্ধে চলা বাবরি মসজিদ (Babri Masjid) ধ্বংস মামলার রায় দিতে হবে। শনিবার সিবিআইয়ের বিদেশ আদালতকে এই নির্দেশই দিল সুপ্রিম কোর্ট।

গত মে মাসে বিশেষ আদালতের বিচারক সুরেন্দ্র কুমার যাদবকে ৩১ অগস্টের মধ্যে রায় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। তারপর বিচারক যাদবের রিপোর্ট বিবেচনা করে বিচারপতি আর নরিম্যানের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ সেই মেয়াদ একমাস বাড়িয়েছে। সেই রিপোর্ট বিচারক যাদব জানিয়েছিলেন, শুনানি পর্ব একেবারে শেষ পর্বে আছে।

গত ১৯ অগস্টের রায়ে ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘বিশেষ বিচারক সুরেন্দ্র কুমার যাদবের রিপোর্ট পড়ে এবং শুনানি একেবারে শেষ পর্যায়ে আছে বিবেচনা করে রায়দান-সহ শুনানি সম্পূর্ণ করার জন্য আমরা একমাস সময় (অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) মঞ্জুর করছি।’ এই নিয়ে চতুর্থবার মামলার শুনানি শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

আরও পড়ুন : করোনা আশঙ্কা করছেন? হোয়াটসঅ্যাপ করলেই বাড়িতে এসে টেস্ট করবে পুরসভা

১৯৯২ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের ধ্বংসের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে শুনানি চলছে। ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘৃণা ছড়ানো (১৫৩এ ধারা), জাতীয় অখণ্ডতার উপর প্রভাব বিস্তার করা মন্তব্য (১৫৩বি ধারা)-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল। ২০১৭ সালের এপ্রিলে ওই বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি ধারাও যোগ করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সময় দু’বছরের মধ্যে শুনানি শেষ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

২০১৯ সালের জুলাইয়ে সেই বিষয়টি আবারও শুনেছিল শীর্ষ আদালত এবং রায়দানের সময়সীমা ন’মাস বাড়িয়েছিল। চলতি বছর ১৯ এপ্রিল সেই মেয়াদ শেষ হয়েছিল। তারপর ৬ মে সুপ্রিম কোর্টের কাছে সময় বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছিলেন বিচারক যাদব। দু’দিন পরে বিষয়টি শুনিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারক যাদবের আর্জি মঞ্জুর করে ৩১ অগস্টের মধ্যে রায়দানের নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। একইসঙ্গে সাক্ষ্যপ্রমাণ প্রক্রিয়া শেষ করার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য ভিডিয়ো কনফারেন্সের সাহায্য নিতে বলা হয়েছিল।

যে প্রশ্নটা অনেকের মনে পাক খাচ্ছে তা হল, আডবাণী বাবরি মসজিদ ধ্বংস করেছিলেন, নাকি রামমন্দির। আস্থায় হয়েছে বাবরি রায়। তাতে ধ্বংস করা বাবরি মসজিদকে রাম মন্দির বলা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হল, যদি ওটা রামমন্দির থেকে থাকে তাহলে মন্দির ধ্বংস করা শুধু তো অন্যায় নয় এ যে মহা পাপ! কোনো প্রাচীন সৌধ এইভাবে ধ্বংস করা অপরাধ। তা যে ধর্মেরই হোক। আবেগের ও আস্থার বসে তা ধ্বংসের অধিকার কারও নেই। এখন দেখা যাক আদালত রায়ে কি সাজা শোনায়। তার জন্য সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে।

আরও পড়ুন : দুনিয়া দেখার ইচ্ছে থাকলে এই সুযোগ! এবার দিল্লি থেকে লন্ডন যেতে পারবেন বাসে…

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest