নয়াদিল্লি: ভারত লকডাউন শুরু ও শেষের স্ট্র্যাটেজিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে শুক্রবার রাতে ফের অভিযোগ করেন রাহুল গান্ধী। বিভিন্ন দেশের লকডাউন মেয়াদকাল ও নয়া করোনা কেসের একটি গ্রাফ সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। সেটাই শেয়ার করেন রাহুল গান্ধী।
একটি ট্যুইটে ৫টি গ্রাফ পোস্ট করেছেন রাহুল৷ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে লকডাউন ও ভারতে লকডাউনের একট তুলনা টানা হয়েছে গ্রাফে৷ রাহুল গান্ধির পোস্ট করা গ্রাফে দেখা যাচ্ছে, লকডাউনের ফলে ইতালি, স্পেন, জার্মানি ও ব্রিটেনে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার কমে গিয়েছে৷ সেখানে ভারতে উল্টে বেড়েছে৷ ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘এই ভাবেই ভারতে লকডাউন সম্পূর্ণ ব্যর্থ৷’
আরও পড়ুন: এক ইঞ্চি জমি ছাড়ব না, চিনের সরকারি মুখপত্রে হুঁশিয়ারি ভারতকে
রাহুল যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশ করোনা সংক্রমণের হার নিম্নমুখী হওয়ার পর লকডাউন প্রত্যাহার করেছে। একমাত্র ভারতই সংক্রমণ বৃদ্ধির গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হওয়া সত্বেও লকডাউন প্রত্যাহার করে আনলকের দিকে এগিয়েছে। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছেন স্পেন, জার্মানি, ইটালি, এবং ব্রিটেনের মতো দেশকে। যে দেশগুলিতে একসময় করোনা সংক্রমণ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। রাহুলের গ্রাফে দেখা যাচ্ছে, স্পেনে করোনা সংক্রমণ শীর্ষে ওঠার কয়েক সপ্তাহ পর যখন তা নিম্নমুখী, তখন লকডাউন প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই ছবি ইটালি, জার্মানি এবং ব্রিটেনেও। ব্যতিক্রম শুধু ভারত। যেখানে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী থাকা সত্বেও লকডাউন প্রত্যাহার করে অর্থনীতিকে সচল করার পথে হাঁটছে সরকার। টুইটারে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির ছোট্ট টিপ্পনি, ‘ব্যর্থ লকডাউন সম্ভবত এমনই দেখতে হয়।’ রাহুলের এই পরিসংখ্যান সম্বলিত টুইট নেটদুনিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি লকডাউনের কার্যকারিতা নিয়ে এর আগে একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর দাবি, “দেশে লকডাউনের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা আশানুরূপ ফল দিতে পারেনি। ভারত একমাত্র দেশ, যারা সংক্রমণ ব্যাপক হারে বৃদ্ধির সময় লকডাউনের নিয়ম শিথিল করছে। প্রধানমন্ত্রী-সহ তাঁর আধিকারিকরা সকলেই দাবি করেছিলেন ক্রমেই আক্রান্তের হার কমবে। কিন্ত তেমনটা ঘটতে দেখা যাচ্ছে না।” পাশাপাশি সরকারের কাছে তাঁর জিজ্ঞাস্য, লকডাউন তো ব্যর্থ, তাহলে এবার সরকারের পরিকল্পনা কী?
দেশে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্ত ২.৩৬ লক্ষ মানুষ, মৃৃত ৬৬৪২। সরকার অবশ্য এই ভাবে পরিসংখ্যানটিকে দেখতে চায় না। তাদের কথায়, লকডাউনে করোনা রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার সময় অনেকটাই বেড়েছে। ফলে সংক্রমণের ওপর বাঁধ দেওয়া গিয়েছে। একই সঙ্গে অন্য দেশের তুলনায় ভারতে মৃত্যুহার অনেকটা কম ও রিকভারি রেট অনেকটা বেশি, এই তথ্যের ওপরেই জোর দিতে চায় সরকার।
আরও পড়ুন: রাস্তায় হাঁটু গেড়ে বসে ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদ কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর