Site icon The News Nest

দূরপাল্লার এই ট্রেনগুলিতে আর থাকবে না ননএসি স্লিপার, সবটাই এসি

train

আছে দিন এসে গিয়েছে ! আর ভাবনা কি ! বেসরকারি ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছে মোদী সরকার। এবার আরও এক বড় সংস্কারের পথে ভারতীয় রেল। কিছু কম গতির মেল, এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়া স্লিপার কোচ আর থাকবে না। সব কামরা হয়ে যাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। রেলের পরিকল্পনা হল– যে সব মেল, এক্সপ্রেস ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার শুধু সেখানেই নন-এসি স্লিপার কোচ থাকবে।

সবটাই হবে বেসরকারি। এবার বেসরকরি সরকার হলে কেমন হয়! সেটাই বা সরকরি হবে কেন! জনগণ ট্যাক্স দেবেন। অথচ সরকার তাদের তাকে তৈরী সব কিছু বেসরকরি কোম্পানির হাতে তুলে দেবে। তাহলে কি যেমনটা আগে ছিল সেদিকেই হাঁটছি আমরা। জিজ্ঞাসা করছেন কেউ কেউ। কেউ আবার বলেছেন আগে তো ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গোটা দেশের মালিক ছিল। এবার তেমনই কিছু হবে !

আরও পড়ুন : আধারের মতো প্রপার্টি কার্ড চালু করলেন প্রধানমন্ত্রী, ঐতিহাসিক বলে দাবি করলেন নিজেই

রেল মন্ত্রকে সূত্রে সংবাদসংস্থার খবর, ‘সোনালী চতুর্ভূজে ট্রেনের গতি হবে ঘণ্টায় ১৩০-১৬০ কিলোমিটার। যেসব ট্রেন ওই লাইনে চলবে সেইসব ট্রেনে নন-এসি স্লিপার ক্লাস কোচ থাকবে না। সব কোচই হবে এসি।’রেল মন্ত্রকের মুখপাত্র ডি জে নারিন বলেন,  যেসব ট্রেন ১৩০ বা ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় দৌড়বে সেইসব ট্রেনের কোচ সাধারণভাবেই এসি হওয়া প্রয়োজন।

রেল মন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওইসব ট্রেনের এসি কোচে টিকিটের দাম যাত্রীদের আয়ত্বের মধ্যেই থাকবে। ওইসব ট্রেনে সফরের সময় যেমন বাঁচবে তেমনি বাড়বে আরামও।রেলের পরিকল্পনা অনুযায়ী, নতুন এসি থ্রি-টিয়ার কোচে ৭২-এর পরিবর্তে থাকবে ৮৩টি করে আসন।

দ্রুত গতির ট্রেনে স্লিপার ক্লাস না থাকায় নতুন এসি কোচে বেশি ভাড়া গুণতে হবে যাত্রীদের। তবে সেই ভাড়া বর্তমানের এসি কোচের তুলনায় কম হবে। পঞ্জাবের কপূরথালা রেল কোচ ফ্যাক্টরিতে নতুন এসি কামরা তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। চলতি বছরে এই ধরনের ১০০টি কোচ তৈরি করতে চায় রেল। আগামী বছরের মধ্যে তা বাড়িয়ে ২০০ করার পরিকল্পনা।

রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান তথা সিইও বিনোদকুমার যাদব এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দফায় দফায় এই কাজ করবে রেল। ২০২৩ সালের মধ্যে প্রায় ১,৯০০ মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনের গতি ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার করার যে লক্ষ্য নিয়েছে রেল, তারই অঙ্গ হিসেবে স্লিপার ক্লাস তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত। ২০২৫ সালের মধ্যে এই সব ট্রেনের গতি হবে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। অনেকে বলছেন, পরে এটাকেই ‘দেশি বুলেট ট্রেন’ বলে গেরুয়া শিবির প্রচার দেবে। আমাদের ‘মেক ইন ইন্ডিয়াও’ এরকমই।

আরও পড়ুন : জন্মদিনে ‘সবচেয়ে বড় উপহার’ পেলেন অমিতাভ, কী জানেন?

 

Exit mobile version