কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব আছে ঠিকই তবে BJP-তে যোগ দিচ্ছেন না সচিন পাইলট, রাজস্থান নাটকের মাঝে জানালেন ঘনিষ্ঠ নেতা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না রাজস্থানের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট। গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে তিনি কোনও বৈঠকও করছেন না। ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-কে একথাই জানালেন পাইলটের এক ঘনিষ্ঠ নেতা। তবে সোমবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট কংগ্রেস বিধায়কদের যে বৈঠক ডেকেছেন, তাতে পাইলয় যোগ দিচ্ছেন না জানিয়েছেন ওই নেতা। আপাতত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দিল্লিতেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

জয়পুরে সকাল ১০.৩০টায় পরিষদীয় বৈঠক গেহলটের। মূলত তাঁর প্রতি সমর্থনের শক্তিপরীক্ষা এই বৈঠকেই হবে। সে জন্য দলীয় হুইপও জারি করা হয়েছে। বাধ্যতামূলকভাবে সব বিধায়ককে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলেছেন রাজস্থানে কংগ্রেসের ইন-চার্জ অবিনাশ পাণ্ডে। কোনও কারণ ছাড়াই বৈঠকে উপস্থিত না হলে, কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তবে শনিবার থেকেই দিল্লিতে সচিন। এখনও তিনি সেখানেই রয়েছেন। মরুরাজ্যের রাজনৈতিক সংকট কাটাতে কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা এবং শীর্ষ নেতা অজয় মাকেনকে রাজস্থানে পাঠিয়েছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।

আরও পড়ুন:  ৭২ হাজার আমেরিকান অ্যাসল্ট রাইফেল কিনছে ভারত, এবার বিদায় নেবে ইনসাস

রবিবার গভীর রাতে একটি বিবৃতি জারি করে সচিন দাবি করেন, গেহলট সরকার সংখ্যালঘু। ৩০ জন বিধায়কের সমর্থনই রয়েছে তাঁর দিকে। তার কয়েক ঘণ্টা পরই রাত ২.৩০টে নাগাদ সাংবাদিক সম্মেলন করে কংগ্রেস। সেখানে দাবি করা হয়, ‘মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের প্রতি আস্থা রেখে একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ১০৯ জন বিধায়ক।’

এ দিকে, রাজস্থানের ঘুঁটি সাজাতে বিজেপি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকেই ব্যবহার করতে চাইছে বলে রাজনৈতিক মহলে খবর। গত মার্চেই ২৩ জন বিধায়ককে নিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য। এর পর বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন৷ এ বার দীর্ঘদিনের বন্ধু সচিন পাইলটকে বিজেপিতে আনার জন্য সক্রিয় হয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেসী জ্যোতিরাদিত্য। সূত্রের খবর, তাঁর কাঁধে এই গুরুদায়িত্ব তুলে দিয়েছেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ তাঁরই নির্দেশে জ্যোতিরাদিত্য রবিবার গুরুগ্রামে দেখা করেছেন সচিন পাইলটের সঙ্গে৷ দু’জনের যোগাযোগ দীর্ঘদিনের, সেই সূত্রেই এ দিনের বৈঠক৷ মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে সচিন কী ভাবে কংগ্রেস ছাড়বেন, সেই রণকৌশল তৈরি হয়েছে এই বৈঠকেই৷ তিনি ছাড়াও বিজেপির প্রথম সারির কেন্দ্রীয় নেতা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে খবর।

আরও পড়ুন: রাজ্যে নিষিদ্ধ, মোদীর গুজরাতেই জন্মদিনের পার্টিতে মদের উল্লাসে বিজেপি নেতারা

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest