৩২ বছর বয়েসি বন্দির গুহ্যদ্বার থেকে পাওয়া গেল ৪টি মোবাইল ফোন। পেটে অসহ্য ব্যথা হওয়ায় বারমেরের বাসিন্দা ওই বন্দিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে গুহ্যদ্বারে লুকিয়ে রাখা ফোনগুলি উদ্ধার হয়। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের যোধপুর জেলে।
যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপার কৈলাস ত্রিবেদি জানিয়েছেন, শুক্রবার দেবা রাম নামে গত দেড় বছর ধরে জেলের বাসিন্দা ওই বন্দি অসহ্য ব্যথায় ভুগতে শুরু করেন। জেরায় তিনি গুহ্যদ্বারে মোবাইল ফোন লুকিয়ে রাখার কথা স্বীকার করেন দেবা রাম। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: আরও আক্রমণ হবে, এটা সবে শুরু…যৌন হেনস্থার অভিযোগ উড়িয়ে বার্তা অনুরাগের, নিশানায় কঙ্গনা
এক্স-রে ও সোনোগ্রাফি পরীক্ষায় চিকিৎসকরা তার গুহ্যদ্বারের ভিতরে প্লাস্টিকে মোড়া ৪টি ছোট মোবাইল ফোন সেট দেখতে পান। অস্ত্রোপচারের সাহায্যে ফোনগুলি বন্দির দেহ থেকে বের করা হয়। আপাতত তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
এমন ঘটনা যে দেশে প্রথম এমন নয়। যে কথাটা পুলিশকে ভাবছে তা হল এইভাবে আর কি কি জিনিস তারা জেলের ভিতর নিয়ে আসে তা নিয়ে। সোনা যায় জেলে নাকি টাকা খরচ করলে সব মাইল যায়। কেউ কেউ অভিযোগ করেন পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরিরত অনেকেই কয়েদিদের কাছ থেকেও দুপয়সা কামিয়ে নেয়। বাইরে থেকে তাদের কাছে বহু জিনিসই পৌঁছে যায়। আর সেটা পৌঁছতে সাহায্য করেন ভিতরের লোকেরাই। অংকের অভিযোগ গোটাটাই চেন সিস্টেমে হয়। টাকা ওপরতলা পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তা না হলে কেবল কনস্টেবলের সাহস হবে না এই কাজ করতে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর মধ্যেই UGC-NET 2020 পরীক্ষা! কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ তৃণমূলের, রাজ্যসভায় নোটিস