কেউ বলছেন পাঁপড় খেলে শরীরে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি তৈরি হবে। কারও বিশ্বাস আবার রামমন্দিরে। অযোধ্যায় মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর পড়া মাত্রই অতিমারি বিদায় নেবে বলে দাবি তাঁদের। সেই নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এ বার করোনা তাড়াতে হনুমান চালিশা পাঠের দাওয়াই দিলেন বিজেপির ভোপালের সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা। দিনে পাঁচ বার হনুমান চালিশা পাঠ করলেই করোনার হাত থেকে নিস্তার মিলবে বলে দাবি তাঁর।
শনিবার টুইটারে একটি ভিডিয়ো বার্তা পোস্ট করে প্রজ্ঞা বলেন, ‘‘আসুন একজোটে আধ্যাত্মিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে মানুষের সুস্বাস্থ্য কামনা করি এবং করোনার জেরে তৈরি হওয়া অতিমারিকে শেষ করে দিই। ২৫ জুলাই থেকে ৫ অগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে বাড়িতে বসে পাঁচ বার হনুমান চালিশা পাঠ করুন।৫ অগস্ট অযোধ্যায় মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়ে গেলে, প্রদীপ জ্বালিয়ে ভগবান রামের আরতি করে তবেই এই রীতি সম্পন্ন করুন। দেশের সমস্ত হিন্দুরা একযোগে হনুমান চালিশা পাঠ করলে, কাজ হবেই। করোনার প্রকোপ থেকে মুক্তি মিলবে। কারণ সরাসরি ভগবান রামের কাছে প্রার্থনা করছি আমরা।’’
আরও পড়ুন : পার্ক সার্কাস থেকে মেডিক্যাল যেতে ৯০০০দাবি অ্যাম্বুল্যান্সের, নামানো হল করোনা আক্রান্ত ২ শিশুকে
आइए हम सब मिलकर कोरोना महामारी को समाप्त करने के लिए लोगों के अच्छे स्वास्थ्य की कामना के लिए एक आध्यात्मिक प्रयास करें आज25 से 5 अगस्त तक प्रतिदिन शाम 7:00 बजे अपने घरों में हनुमान चालीसा का 5 बार पाठकरें5 अगस्त को अनुष्ठान का रामलला की आरती के साथ घरों में दीप जलाकर समापन करें pic.twitter.com/Ba0J2KrkA8
— Sadhvi Pragya singh thakur (@SadhviPragya_MP) July 25, 2020
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান গতকালই করোনায় আক্রান্ত হন। টুইটারে তাঁর আরোগ্যও কামনা করেন সাধ্বী প্রজ্ঞা। পরিস্থিতি সামাল দিতে মধ্যপ্রদেশ সরকার চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখছে না এবং তার জন্য ৪ অগস্ট পর্যন্ত রাজ্যে লকডাউন জারি রাখার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছেন বলে জানান তিনি। কিন্তু ৪ অগস্ট লকডাউন শেষ হলেও, তার পর দিন অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হলে তবেই এই রীতি সম্পন্ন হবে বলে জানান সাধ্বী প্রজ্ঞা।
প্রজ্ঞা ঠাকুর বলেন, ‘একইভাবে ২৫ জুলাই থেকে ৫ অগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যায় পাঁচবার হনুমান চালিশা পড়ুন। লকডাউন ৪ তারিখ শেষ হলেও আমরা ৫ অগস্ট পর্যন্ত সেই হনুমান চালিশা পাঠ করব। ওইদিনই অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা যহবে। সেদিন আমরা দীপাবলির মতো উদযাপন করব, প্রদীপ জ্বালাব, সন্ধ্যা সাতটায় পাঁচবার হনুমান চালিশা পড়ব এবং আরতি করব। দেশের সর্বত্র মানুষ যখন একসঙ্গে হনুমান চালিশা পাঠ করবেন, তখন তা নিশ্চিতভাবে কাজ করবে এবং আমরা করোনা-মুক্ত হব। এটা ভগবান রামের কাছে আমাদের প্রার্থনা।’
হনুমান চালিশা কি বিজেপি নেতারা পাঠ করেন না ?নাকি জানেন না ? তাহলে একের পর এক তাঁরা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন কেন ? তাছাড়া সবাই যখন করোনার টিকা আবিষ্কার করতে হিমশিম খাচ্ছে, তখন মোদী বাবু দেশ তথা বিশ্বে কাছে এই টোটকার কথা দিচ্ছেন না কেন? যিনি জোর করে হাইড্রোকিসিক্লোরোকুইনিন নিয়ে গিয়েছিলেন, সেই মার্কিন ‘বন্ধু’ ট্রাম্পকে তো অন্তত এই হনুমান চালিসার কথা মোদী বাবু জানাতেই পারতেন !
আরও পড়ুন : মার্চ থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে কথা হচ্ছে মুকুলের! গসিপ নাকি সত্য? মিডিয়া রিপোর্টে হইচই