এমনিতে ফেসবুকের নীতিবাগীশপনা তো কম নেই। বহু সাধারণ অভিমত তারা আজকাল প্রচার করতে দেয় না। গাইডলাইনে নাকি আটকায়। সব গাইড লাইন কি সাধারণ লোক এবং বিজেপি বিরোধীদের জন্য। বিজেপির লোকেদের কী সাত খুন মাফ?
বিজেপি নেতানেত্রীদের সাত খুন মাফ। নিয়ম লঙ্ঘন করলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না তাদের বিরুদ্ধে । কারণ তাতে ভারতে সংস্থার ব্যবসার সম্ভাবনা মার খেতে পারে । ফেসবুকের শীর্ষস্তর থেকে নাকি এমনই বার্তা দেওয়া হয়েছে।দাবি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ এর।
আরও পড়ুন : অর্ধ শতাব্দী ধরে জাতীয় পতাকা তৈরি করে আসছেন ঝান্ডেওয়ালি’ গাফফার
ফেসবুকের এক কর্মীকে উদ্ধৃত করে ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ দাবি করেছে, ফেসবুকের ‘সিনিয়র ইন্ডিয়া পলিসি এগজিকিউটিভ’ আঁখি দাস নাকি বিষয়বস্তু পর্যালোচনার অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন, যাতে তেলাঙ্গানার বিজেপি বিধায়ক টি রাজা সিংয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো না হয়। এই টি রাজা বহুবার মুসলিমদের উদ্দেশে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য প্রচার করেছেন। তার সাক্ষী রয়েছে গোটা দেশ।
রিপোর্টে এমনও দাবি করা হয়েছে যে ফেসবুকের উচ্চপদস্থ কর্ত্রী আঁখি ‘কর্মীদের বলেছেন যে নরেন্দ্র মোদীর দলের রাজনীতিবিদদের (বিধি) লঙ্ঘনে শাস্তি দিলে দেশে (ভারত) সংস্থা ব্যবসার সম্ভাবনা ধাক্কা খাবে।’ যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ফেসবুক। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, সেই বিষয়টি এখনও পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি আঁখি।
বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে শুভ চেতনা সম্পন্ন লোকজন। বিজেপির নেতানেত্রীদের উস্কানিমূলক মন্তব্যের বিরুদ্ধে ফেসবুক নরম মনোভাব নিচ্ছে বলে আগেই সরব হয়েছিল তারা। দাবি করেছে কংগ্রেস। এমনকী আঁখির সঙ্গে দেখা করে সেই বিষয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করা হয়েছিল। কংগ্রেসের মিডিয়া সেলের এক উচ্চপদস্থ কর্মী বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা আঁখি দাসের সঙ্গে দেখা করেছিলাম এবং আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলাম।’
কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরা বলেন, ‘ফেসবুক নিয়ে এই রিপোর্ট ফাঁস বড়সড় ধাক্কা।নয়া যে তথ্য আসছে, তাতে ফেসবুক ইন্ডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকদের সঙ্গে বিজেপির ঘনিষ্ঠতা ক্রমশ ফাঁস হয়ে যাচ্ছে।’
এ বিষয়ে ফেসবুকের দাবি, এই সংক্রান্ত বিষয়ে সংস্থার নীতি ‘নিরপেক্ষ’। ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-এ প্রকাশিত রিপোর্টের ভিত্তিতে ফেসবুকের এক মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা উস্কানিমূলক মন্তব্য এবং বিষয়বস্তুর উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দিই, যা হিংসায় প্ররোচনা দিতে পারে। কোনও রাজনৈতিক অবস্থান বিবেচনা না করেই আমরা সারা বিশ্বে এই নীতিই প্রণয়ন করি। তবে আমরা জানি, আমাদের আরও করতে হবে, স্বচ্ছতা এবং যথাযথতা নিশ্চিত করতে প্রণয়নের দিকে আমরা এগোচ্ছি এবং নিয়মিত অডিট করছি।’
আরও পড়ুন : সীমান্ত-চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে জানে ভারত! চিনের নাম না করে ভাষণ মোদীর, তোপ বিরোধীদের