করোনার কারণে দেশের সমস্ত স্কুল ও কলেজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তরফে অনলাইনে ক্লাস করানোর ব্যবস্থা থাকলেও বেশিরভাগ রাজ্যেই প্রত্যন্ত গ্রামের গরিব পড়ুয়ারা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতি কাজে লাগাচ্ছে আরএসএস (RSS)। মধ্যপ্রদেশের গ্রামগুলিতে কমপক্ষে ৬০০টি স্টাডি সেন্টার খোলা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই স্টাডি সেন্টারগুলিতে পড়াশোনার বিষয়ে সাহায্য করার পাশাপাশি সংঘের আদর্শের সঙ্গেও পরিচয় করানো হচ্ছে। ভারতের ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ বলে আরএসএস যা দাবি করে তা গেলানো হচ্ছে পড়ুয়াদের। সংঘ যে দেশপ্রেম পড়ুয়াদের শেখাচ্ছে তা যে মনুবাদী হবে তাতে সন্দেহ করা ঠিক হবে না। অনেকে বলে আরএসএসের দেশপ্রেম মানে হল, ইঙ্গিতে বিশেষ সম্প্রদায়কে নিশানা করা। তাদের খাটো করার চেষ্টা করা। দেশপ্রেমের নাম করে বিদ্বেষ ও হিন্দুদের সঠিক অনুপাতে মিশ্রণ বানানো।
আরও পড়ুন : Covid-19: করোনা রোগীর ফুসফুসের সফল প্রতিস্থাপন, মেডিক্যাল মিরাকল! এশিয়ায় প্রথম
কর্মসূচির দায়িত্বে থাকা আরএসএসের একজন প্রচারক সতীশ পিম্পলিকর বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে স্কুলগুলি বন্ধ রয়েছে। ফলে অনেক পড়ুয়ারা অনলাইনের মাধ্যমে পড়াশোনা চালাচ্ছেন। কিন্তু, মধ্যপ্রদেশে প্রচুর ছাত্রছাত্রীর কাছে স্মার্ট ফোন না থাকায় তার অনলাইন ক্লাস করতে পারছেন না। তাই ক্লাস এইট পর্যন্ত পড়ুয়াদের সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় বালগোকুলাম সেন্টার (Balgokulam centres) খোলা হয়েছে। সেখানে প্রতিদিন তিন ঘণ্টা করে ক্লাস নিচ্ছেন হাজারেরও বেশি স্বয়ংসেবক। এই কাজে বইয়ের পাশাপাশি কমিউনিটি রেডিও ব্যবহার করা হচ্ছে।’
জানা গিয়েছে যে সমস্ত পড়ুয়া আর্থিক অভাবের কারণে অনলাইনে ক্লাস করতে পারছে না। তাদের মধ্যে এই স্টাডি সেন্টারগুলিতে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। আরএসএসের এই স্টাডি সেন্টার খোলার তৎপরতা ভাবিয়ে তুলেছে ধর্ম নিরপেক্ষ চেতনা সম্পন্ন মানুষজনকে। তাদের বাড়বাড়ন্ত হওয়ার অর্থই হল বিদ্বেষের লালন। ভারতের বৈচিত্রকে অস্বীকার করার প্রবণতা তৈরী করা। যাতে এই পড়ুয়ারা সন্তান সহনশীল হিন্দুত্বের কত না হলে সংঘের হিন্দুত্বের কথা বলে। তাতেই অনেকে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন।
আরও পড়ুন : IPL 2020: CSK-র হয়ে খেলবেন না, আমিরশাহি ছেড়ে দেশে ফিরলেন সুরেশ রায়না