করোনায় প্রয়াত সনিয়া-ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা ও রাজ্যসভার সাংসদ আহমেদ প্যাটেল

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

প্রয়াত প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল। আজ অর্থাত্‍ বুধবার ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ দিল্লির হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। রাতেই ট্যুইটারে তাঁর ছেলে ফৈজল প্যাটেল বাবার মৃত্যুর খবর দেন। আহমেদ প্যাটেলের বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।

একটি টুইটে ফয়জল জানিয়েছেন, বুধবার ভোর সাড়ে ৩টের সময় প্রয়াত হয়েছেন গুজরাট থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভার সাংসদ আহমেদ পাটেল। ফয়জল লিখেছেন, ‘‌গভীর শোকের সঙ্গে আমি আমার বাবার অকাল মৃত্যুর কথা ঘোষণা করছি। ২৫ নভেম্বর ভোর সাড়ে ৩টের সময় প্র‌য়াত হয়েছেন আহমেদ প্যাটেল। মাসখানেক আগে তিনি করোনা আক্রান্ত হন। এর পর একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে পড়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থায় অবনতি হয়।’‌ একইসঙ্গ ফয়জল তাঁর টুইটে তাঁদের সমস্ত শুভাকাঙ্ক্ষীদের জনসমাগম এড়িয়ে কোভিড নিয়মবিধি মেনে চলার অনুরোধ করেন।

আরও পড়ুন: প্রিয়ঙ্কা-সালামাত হিন্দু-মুসলমান নয়, সঙ্গী পছন্দ করা মৌলিক অধিকার : এলাহাবাদ হাইকোর্ট

আহমেদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা শোক প্রকাশ করেছেন। কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধী বলেছেন, ‘‘বিশ্বস্ত সহকর্মী এবং বন্ধুকে হারালাম। এই ক্ষতি অপূরণীয়।’’ শোক বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘আমি এমন এক সহকর্মীকে হারালাম যাঁর সারা জীবন কংগ্রেস দলের প্রতি নিবেদিত ছিল। তাঁর বিশ্বস্ততা, কর্তব্যের প্রতি নিষ্ঠা, উদারতার মতো এমন অনেক গুণ ছিল, যা তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলেছিল। তাঁর মৃত্যু এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমি তাঁর মৃত্যুর জন্য শোকপ্রকাশ করছি এবং তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি’।

গান্ধী পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ আহমেদ প্যাটেল কোভিড পজিটিভ হন ১ অক্টোবর। ১৫ নভেম্বর তাঁকে গুরগাঁওয়ে মেদান্ত হাসপাতালের আইসিইউ–তে ভর্তি করানো হয়। ১ অক্টোবর যখন আহমেদ প্যাটেল নিজের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর জানান তখন তিনি অতি সম্প্রতি তাঁর সংস্পর্শে আসা সকলকে কিছু দিনের জন্য আইসোলেশনে থাকার আবেদন জানিয়েছিলেন।

আহমেদ প্যাটেল তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন গুজরাতের স্থানীয় নির্বাচন থেকে। বাহরুচ জেলায় ১৯৭৬ সালে। পরে গুজরাত ও কেন্দ্রে কংগ্রেসের সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা আহমেদ প্যাটেল ছিলেন গান্ধী পরিবারের অত্যন্ত আস্থাভাজনও। ১৯৮৫ সালে প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর আমলে সংসদীয় সচিব হিসেবে যোগ দেন আহমেদ প্যাটেল। কংগ্রেসের ক্রাইসিস ম্যানেজার ছিলেন বললেও অত্যুক্তি হয় না আহমেদ প্যাটেল সম্পর্কে।

আহমেদের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে রাহুল গান্ধী লিখেছেন, ‘আজ দুঃখের দিন। কংগ্রেস দলের স্তম্ভ ছিলেন আহমেদজি। দলের সবচেয়ে খারাপ দিনেও তিনি পাশে ছিলেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কংগ্রেসের জন্য বেঁচেছেন। উনি দলের বড় সম্পদ ছিলেন। আমরা ওঁর অভাব অনুভব করব। ফৈজল ও তাঁর পরিবারকে আমার সমবেদনা ও ভালবাসা’। প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বডঢ়া লিখেছেন, ‘উনি শুধুমাত্র বুদ্ধিমান ও অভিজ্ঞ সহকর্মী ছিলেন তা-ই নয়, এক জন প্রকৃত বন্ধুও ছিলেন। ওঁর সঙ্গে সর্বদা পরামর্শ ও আলোচনা করতাম। তিনি অবিচল, অনুগত এবং নির্ভরযোগ্য ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে বড় শূন্যতা তৈরি হল। ওঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।’

আরও পড়ুন: ‘কর্মই ধর্ম’, বেকারদের জন্য নতুন প্রকল্প ঘোষণা মমতার, সরকারি ছুটির তালিকায় জুড়ল বিরসা মুন্ডার জন্মদিন

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest