‘প্রথমে ডিজিটাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণে গুরুত্ব দেওয়া দরকার’, সুপ্রিম কোর্টে বলল কেন্দ্র

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

এখন টিভিকে টেক্কা দিচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া।এখন টিভিকে টেক্কা দিচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। শুধু দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়াই নয়, সত্যের পাশাপাশি ছড়াচ্ছে আধা সত্য এমনকি, মিথ্যেও। তাই নরেন্দ্র মোদী সরকার চায়, বৈদুতিন সংবাদমাধ্যমের (টিভি) আগে ডিজিটাল মিডিয়ার খবরের মান ও স্বচ্ছতা নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করুক সুপ্রিম কোর্ট।

অনেকের অভিযোগ আসলে এবার সোশ্যাল মিডিয়ার টুটি চেপে ধরতে চাইছে মোদী সরকার।গদি মিডিয়া বানিয়ে তারা একরকম নিশ্চিন্তে ছিল. কিন্তু তাদের বাড়া ভাতে ছাই দিচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া।টিভি মিডিয়া একপাক্ষিক। খানিকটা মন কি বাতের মত। বলেই খালাস। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় কাউন্টার করার সুযোগ থাকে।ফলে দ্রুত তা জনপ্রিয় হয়েছে। বিশেষ শ্রেণীর স্বার্থ যে মিডিয়াগুলি চরিতার্থ করত, তাদের স্বার্থে ঘা লাগছে।

আরও পড়ুন : এসবিআই এটিএম থেকে টাকা তোলার নয়া নিয়ম শুরু কাল থেকে

একটি টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারিত বিতর্কিত খবর প্রসঙ্গে দায়ের হওয়া মামলার শুনানিতে সংবাদমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্ন ওঠে সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার শুনানিপর্বে টিভি চ্যানেলগুলির খবরের সত্যতা ও মান নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার কথা বলে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। কিন্তু বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের হলফনামায় বর্তমান পরিস্থিতিতে টিভির উপর নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

হলফনামায় বলা হয়েছে, ‘‘ডিজিটাল মিডিয়া অনেক দ্রুত মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকের মতো অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে তা ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেশি। ফলে আরও সতর্কতা বজায় রাখা প্রয়োজন।’’ বতর্মান প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল মিডিয়ার প্রভাব অনেক বেশি বলেও শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছে কেন্দ্র।

কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের দাবি, ‘‘প্রিন্ট মিডিয়া (খবরের কাগজ, পত্রিকা ইত্যাদি) এবং বৈদ্যুতিন মিডিয়া (টিভি)-র ভূমিকা পর্যালোচনা করে আগে নানা রায় দিয়েছে আদালত। যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে ও বিচার করে তবেই সেখানে কোনও খবর প্রকাশ করা হয়। কিন্তু সরকারি পর্যবেক্ষণ বলছে, ডিজিটাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে বাকস্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের দায়িত্ব—এই দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য প্রায়শই রক্ষা করা হয় না। তাই আগে ডিজিটাল মিডিয়ার জন্য নির্দিষ্ট গাইডলাইন বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও পদক্ষেপ জরুরি।

তাহলে কী গেরুয়া আইটি সেল আর আগের মত সুবিধা করতে পারছে না? একসময় বেতনভুক এই গেরুয়ায় সেনারা কম ভুয়ো খবর ছড়ায়নি। সেদিন কেন্দ্রের মনে হয়নি যে তাদের রাশ টেনে ধরা উচিত। আজ যখন গদি মিডিয়ার ক্লীবতা সামনে আসছে তখন ভিন্ন ভাবনার কথা কেন্দ্রের মাথায় আসছে। মনে করছেন অনেকেই।

আরও পড়ুন : যুদ্ধের আবহেও ‘চিনা’ ব্যাংক থেকে ৯ হাজার কোটির ঋণ নিয়েছে ভারত! সংসদে জানাল কেন্দ্র

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest