ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর বুকে সংঘটিত হিংসার তদন্ত করে চার্জশিট দিল দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেল। ১৭,৫০০ পাতার ওই বিশাল নথিতে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে ১৫ জনের নাম করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
সংশোধিত নাগরিত্ব আইন (CAA) -এর বিরোধিতার জন্য যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলি তৈরি হয়েছিল। সেগুলিকে ব্যবহার করেই দিল্লিতে অশান্তি ছড়ানো হয়েছিল। বুধবার দিল্লির কারকারডোমা আদালতে জমা দেওয়া ১৭ হাজার ৫০০ পাতার চার্জশিটে এই দাবিই করা হয়েছে পুলিশের স্পেশাল সেলের তরফে।
দিল্লি পুলিস আদালতে জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে হওয়া পূর্ব দিল্লির হিংসায় হাঙ্গামাকারীদের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল অভিযুক্তরা। হাঙ্গামা বাধানোর জন্য তৈরি করা হয়েছিল দুটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। ওই গ্রুপই সেলিমপুর ও জাফরাবাদে হিংসা করেছে।
আরও পড়ুন : বুধবার বাড়ল সোনার দাম, তবে নিম্নমুখী রুপো
The charge sheet in Delhi riots case filed today does not have names of Umar Khalid and Sharjeel Imam as accused. As they were arrested a few days ago, their names will be in the supplementary charge sheet. https://t.co/T1TW52yXdg
— ANI (@ANI) September 16, 2020
দিল্লিতে যখন হিংসা চলছিল সে সময় রাজধানীতে ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ও জেএনইউ এর কয়েকজন পড়ুয়াকে। তাদের কাছ থেকেও বহু তথ্য পেয়েছে পুলিস। হিংসায় নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন আর কাউন্সিলার তাহির হুসেনের। কোনও কোনও মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে চার্জশিটে শুধুমাত্র সিএএ বিরোধী বিক্ষোভকারীদের নাম কেন?
বুধবার সকালে ১৭ হাজার ৫০০ পাতার ওই চার্জশিটটি দুটি ট্রাঙ্কে করে আদালতে নিয়ে আসে দিল্লি পুলিশ। ওই চার্জশিটের ২৬০০টি পাতায় ১৫ জন অভিযুক্তের বিষয়ে বিশদে বর্ণনা করার পাশাপাশি বাকি পাতাগুলিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে হওয়া অশান্তির বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। পাশাপাশি দিল্লি পুলিশের তরফে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে তদন্ত চলছে। এখনও পর্যন্ত যে অভিযুক্তদের নাম ওই চার্জশিটে নেই পরবর্তীকালে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে তাদের নাম ঢোকানো হবে।
আরও পড়ুন : OMG! জ্বলজ্যান্ত পাইথনকেই মাস্ক হিসেবে মুখে জড়ানো, বাসযাত্রীকে নিয়ে হইচই কাণ্ড