#নয়াদিল্লি: ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে বুধবার দেশজুড়ে চিকিত্সকদের ধর্মঘট। লোকসভায় পাশ হওয়া জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন বিলের প্রতিবাদেই এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। সকাল ছ’টা থেকে শুরু হয়েছে ধর্মঘট।
ধর্মঘটে সামিল হয়েছে কলকাতা-সহ রাজ্যের বহু হাসপাতালই। ফলে, আউটডোর পরিষেবা বন্ধ থাকায় ডাক্তার দেখাতে এসে বিপাকে পড়েছেন অনেকেই। যদিও, জরুরি পরিষেবাকে এই ধর্মঘটের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
বুধবার সকাল থেকেই লম্বা লাইন রাজ্যের প্রতিটি হাসপাতালে। যদিও প্রতিটি হাসপাতালে জরুরি পরিষেবা চালু রয়েছে। অভিযোগ, হাসপাতালের তরফে টিকিট দেওয়া হলেও আউটডোরে আসেননি ডাক্তাররা। রোগীদের বক্তব্য, মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত আউটডোরে ডাক্তার দেখানোর জন্য লাইন দেন তাঁরা। কিন্তু ধর্মঘটের জন্য আজ অমিল চিকিৎসক। তাই ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের গেট বন্ধ করে দেন চিকিৎসকরা। এই নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সর্বভারতীয় সভাপতি রাজ্যসভার সাংসদ ডা. শান্তনু সেন জানান, বুধবার সকাল ছ’টা থেকে টানা চব্বিশ ঘণ্টার ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। সারা দেশের মতো এ রাজ্যেরও সমস্ত সরকারি হাসপাতালে জরুরি বিভাগ ব্যতীত অন্যান্য বিভাগ বন্ধ থাকবে। তাঁর কথায়, “বিজেপি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে দিতে চাইছে। এনএমসি বিল গণতন্ত্র বিরোধী। এই বিলের মাধ্যমে রাজ্যের ক্ষমতাকে খর্ব করা হচ্ছে। মেডিক্যাল এডুকেশনকে কর্পোরেট সেক্টরের হাতে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। তা আমরা হতে দেব না।”
দেশের চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে, মেডিক্যাল শিক্ষায় দুর্নীতি রুখতে, সময়োপযোগী ও সংস্কারমুখী পাঠ্যসূচি চালু করতেই বিলটি আনা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। কিন্তু, আইএমএ-র অভিযোগ, এনএমসি বিল জনস্বার্থ বিরোধী। তা আইনে পরিণত হলে মেডিক্যাল শিক্ষার গোটাটাই নিয়ন্ত্রণ করবে কেন্দ্র। তারই প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দেয় তারা।