কমপক্ষে ৫ বছর গ্রামে, চাকরি করতে হবে ডাক্তারদের!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কর্মরত ডাক্তারদের স্নাতকোত্তরে ভর্তির ক্ষেত্রে সংরক্ষণে সম্মতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে সেক্ষেত্রে প্রার্থীদের অন্তত ৫ বছর গ্রামে, পাহাড়ে বা আদিবাসী এলাকায় কাজ করতে পাঠানো উচিত বলেও জানিয়েছে আদালত। এ ব্যাপারে নিয়মবিধি তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে।

সোমবার আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছে, রাজ্য সরকারগুলির উচিত সংরক্ষণের প্রার্থীদের একটি শর্ত দেওয়া। ডাক্তারদের বলা উচিত, তাঁদের অন্তত পাঁচ বছর গ্রামে, পাহাড়ে বা আদিবাসী এলাকায় কাজ করতে হবে। যে ভর্তির প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে, তার উপর এই রায়ের কোনও আঁচ পড়বে না বলে জানিয়েছে আদালত। ভবিষ্যতে যাঁরা স্নাতকোত্তরে ভর্তি হবেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই এই রায় লাগু হবে বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন : পর্বতের মূষিক প্রসব !প্রশান্ত ভূষণকে ১ টাকা জরিমানা সুপ্রিম কোর্টের ! অনাদায়ে ৩ মাসের জেল

শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ বলেছে, ইন-সার্ভিস ডাক্তারদের সংরক্ষণের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারগুলিকে বাধা দেওয়ার কোনও আইন সংবিধানে নেই। ডাক্তারদের বিভিন্ন সংস্থার একগুচ্ছ পিটিশনে সম্মতি দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, যখন মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া এই দায়িত্ব নিতে পারছে না, তখন সংবিধান অনুযায়ী রাজ্য সরকার এর দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারে এবং দ্বিতীয় তালিকায় প্রয়োজনীয় অন্তর্ভুক্তি ঘটাতে পারে।

কয়েকটি রাজ্যের বিধিতে বলা হয়েছে, প্রত্যন্ত ও কঠিন এলাকায় কাজ করলে প্রতি বছরের জন্য ১০ শতাংশ পর্যন্ত নম্বর ইনসেনটিভ হিসেবে দেওয়া হবে ডাক্তারদের। নিটে পাওয়া নম্বরের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি দেওয়া হতে পারে।ডাক্তাররা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে জানিয়েছিলেন, সরকারি ডাক্তারদের স্নাতকোত্তরে ভর্তির ক্ষেত্রে ইনসেনটিভ নম্বরের পরিবর্তে সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু করা হোক।

ফি বছর যদি লক্ষ লক্ষ ডাক্তার তৈরী হয়, তাহলেও এদেশে সমস্যা মিটবে না। তার কারণ চিকিৎসকরা বেশিরভাগই শহরে থাকতে চান। চিকিৎসা পেশাটা তারা অন্য পেশার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলছে। চিকিৎসক হয়ে তারা অনেকেই দ্রুত ধনী হতে চাইছেন। আরামের জীবন কাটাতে চাইছেন। অধিকাংশই প্রথম থেকেই স্বেচ্ছায় ভুলে যাচ্ছেন চিকিৎসক হিসাবে নেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা। কেবল চিকৎসকরা এই সংক্রামক অসুখে আক্ৰান্ত এদেশের বেশিভাগ পেশার মানুষ।

চিকিৎসকদের সঙ্গে তাদের ফারাক রয়েছে। চিকিৎসক মানুষের প্রাণ বাঁচান। মানুষকে সুস্থ করেন। তাই তাঁর কাছে অগ্রাধিকারের বিষয় হয় উচিত রোগী। কিন্তু তা হচ্ছে না। চিকিৎসকরা অধিকাংশই গ্রামে যেতে নারাজ। ফলে চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়লেও গ্রাম-গঞ্জ থেকে যাচ্ছে হাতুড়েদের হাতেই।

আরও পড়ুন : ডিজিটাল সার্জিক্যাল স্ট্রাইক! মোদীর ‘মন কি বাত’-এ ইউটিউবে ডিসলাইকের বন্যা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest