আরও বাড়তে পারে ডাল-তেলের দাম, জানাল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতে, দেশজুড়ে করোনা অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব আগামী দিনে মুদ্রাস্ফীতির উপর প্রভাব ফেলবে।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বাঙালির অন্যতম প্রিয় ডাল-ভাত-আলুসিদ্ধ আরও দামি হতে চলেছে কারণ, ডাল ও ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার প্রবল সম্ভাবনা। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় ডাল ও ভোজ্য তেলের দাম বাড়তে পারে। তবে ২০২০-২১ সালে বিপুল উৎপাদনের কারণে খাদ্যশস্যের দাম কমার সম্ভাবনার আশার কথা রয়েছে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বার্ষিক রিপোর্টে। তারা আশা করছে, অদূর ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামের ক্ষেত্রে অস্থিরতা চলবে।

তবে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে বিপুল উৎপাদনের কারণে খাদ্যশস্যের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, আনলক পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকে খাদ্যপণ্যের খুচরো দাম যে হারে বেড়েছে, তা গরমের সময়ের স্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির থেকে অনেকটাই বেশি। আগামী আরও কিছুদিন ডাল ও ভোজ্য তেলের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম উর্ধ্বগামী হতে পারে।

আরও পড়ুন: কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী বদল নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা, BJP-তে তোলপাড়

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতে, দেশজুড়ে করোনা অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব আগামী দিনে মুদ্রাস্ফীতির উপর প্রভাব ফেলবে। চলতি বছরের মার্চ থেকে দেশজুড়ে দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর করোনা সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি এবং সংক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন বিধিনিষেধ ব্যবস্থা জারি হওয়ায় জন্যই সরবরাহ ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এর জেরে আগামী দিনে মুদ্রাস্ফীতি প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতে, করোনা অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব আগামী দিনে মুদ্রাস্ফীতির উপর পড়তে পারে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘অতিমারীর কারণে বাজারে প্রতিযোগিতা কমে যায়। মার্চ থেকে দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর করোনা সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি এবং তার সঙ্গে সংক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন বিধিনিষেধ ব্যবস্থা জারি হওয়ায় সরবরাহ ক্ষেত্রে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তার জেরে আগামী দিনে মুদ্রাস্ফীতি প্রভাবিত হতে পারে।’ প্রসঙ্গত, ক্রেতা মূল্য সূচকের ভিত্তিতে মুদ্রাস্ফীতির হার গত অর্থ বছরের অধিকাংশ সময়েই বেড়েছে, যার কারণ অতিমারীর জন্য সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়া এবং মূল খাদ্যপণ্যগুলির দাম বৃদ্ধি।

আরও পড়ুন: Cyclone Yaas : ইয়াস-ত্রাণে ওড়িশাকে ৫০০ কোটি কেন্দ্রের, বাংলা-ঝাড়খণ্ড মিলে পেল ২৫০ কোটি করে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest