“জাটদের চেহারা আছে বুদ্ধি কম, সেটা আছে বাঙালিদের,” মন্তব্যে ক্ষমা চাইলেন বিপ্লব দেব

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

হরিয়ানার জাটদের বুদ্ধি কম, কিন্তু হৃষ্টপুষ্ট চেহারা আছে। আর বাঙালিদের দেশে সবাই চেনে বুদ্ধির জন্য। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের এই মন্তব্যের জেরে ওঠে তুমুল সমালোচনার ঝড়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে জাতিবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠতে শুরু করে। তার জেরে শেষমেশ ক্ষমা চাইতে হয় বিপ্লবকে।

চাপে হিন্দিতে টুইট করে বিপ্লব লেখেন, “আমার এই সম্প্রদায়ের (জাট) অনেক বন্ধু রয়েছে। যদি আমার কথায় কারও খারাপ লাগে, তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।”

রবিবার আগরতলা প্রেস ক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বিপ্লব দেব। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘বলা হয়, বুদ্ধি এবং মেধার ক্ষেত্রে বাংলা এবং বাঙালিদের কখনও চ্যালেঞ্জ জানানো উচিত নয়। বুদ্ধিমত্তার জন্যই পরিচিত বাঙালি। এ ক্ষেত্রে তাঁদের কেউ টক্কর দিতে পারবে না। ঠিক যেমন, পঞ্জাবি এবং জাঠরা পরিচিত তাঁদের শারীরিক গঠনের জন্য।’’

আরও পড়ুন : সামাজিক দূরত্বের পাঠ দিতে শাহরুখের সিগনেচার পোজ ! ভাইরাল অসম পুলিশের টুইট

বিপ্লব আরও বলেন, ‘‘পঞ্জাবের মানুষজনকে পাঞ্জাবি বা সর্দার বলে সম্মোধন করি আমরা। ওদের বুদ্ধিসুদ্ধি তেমন নেই, তবে অত্যন্ত শক্তিশালী। গায়ের জোরে ওদের সঙ্গে পেরে ওঠা যাবে না। হরিয়ানায় জাঠদের একটা বড় অংশ বাস করেন। বলা হয়, বুদ্ধিসুদ্ধি কম থাকলেও জাঠদের শারীরিক গঠন মজবুত। জাঠকে চ্যালেঞ্জ জানালেই বিপদ। বাড়ি থেকে সটান বন্দুক নিয়ে হাজির হবে।’’

“বুদ্ধির দিক থেকে বাঙালির সঙ্গে জাটরা পেরে ওঠেন না,” আগরতলা প্রেস ক্লাবে এমন মন্তব্য করতে দেখা যায় বিপ্লব দেবকে। তাঁর এই বক্তব্যের ভিডিয়ো টুইট করেন কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। ক্যাপশানে লেখেন “বিজেপির চিন্তাধারা।”

ভিডিয়োটি এরপর ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তার জেরেই শেষমেশ ক্ষমা চাইলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। “আগরতলা প্রেস ক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে আমি আমার জাট ও পাঞ্জাবী ভাইদের বিষয়ে একটি মতপ্রকাশ করেছিলাম। কাউকে আঘাত করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না,” জানান বিপ্লব। তিনি আরও বলেন, “আমি জাট ও পাঞ্জাবীদের জন্য গর্বিত। আমি বহুদিন তাদের সঙ্গে থেকেছি।”

এই প্রথম নয়, আলটপকা মন্তব্যের জন্য আগেও বিতর্কে জড়িয়েছেন বিপ্লব দেব। গত বছর নভেম্বরে তিনি বলে বসেন, বোমা মেরে ত্রিপুরার শিল্প এবং স্থাপত্য গুঁড়িয়ে দিতে চেয়েছিল মুঘলরা। মহাভারতের সময়ও ভারতে ইন্টারনেট এবং স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনের অস্তিত্ব ছিল বলেও দাবি করেন তিনি।

আরও পড়ুন :করোনা আক্রান্ত বহু চিকিৎসক, বর্ধমান ও শান্তিপুরের হাসপাতালে কার্যত স্থগিত পরিষেবা

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest