মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কায় সব রকম পেঁয়াজ রফতানির উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত এপ্রিল-জুলাই মাসে পেঁয়াজ রফতানির হার অস্বাভাবিক ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়, যার জেরে বাজারে দাম চড়তে শুরু করেছে।
সোমবার ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেডের তরফে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কোনও ধরনের পেঁয়াজ রফতানি করা যাবে না। প্রসঙ্গত ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড হল বাণিজ্য মন্ত্রকের একটি শাখা। তারা মূলত আমদানি, রফতানি বিষয় দেখভাল করে।
আরও পড়ুন: লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিক মৃত্যুর হিসেব নেই, তাই ক্ষতিপূরণের প্রশ্নই ওঠে না, স্পষ্ট জানিয়ে দিল কেন্দ্র
মাস আটেক আগেই অগ্নিমূল্য হয়েছিল পেঁয়াজ। কিলো প্রতি দাম পৌঁছে গিয়েছিল ৫০০ এমনকি ৬০০ টাকাতেও। অনেকের.মতে সেই পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় তাই.দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা অনুযায়ী পেঁয়াজের যোগান রাখতে চাইছে কেন্দ্র।
এবার পেঁয়াজের ফলন কিছুটা কম হয়েছে। মূলত মহারাষ্ট্রের নাসিকে যে বিরাট পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদিত হয় এবার তাতেও কিছুটা সংকট। অনেকের মতে কোভিড সংক্রমণের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।এনসিপি নেতা শরদ গোবিন্দ পাওয়ার যখন কৃষিমন্ত্রী ছিলেন তখন বলতেন, পেঁয়াজের ফলন বাড়া কমা এক বছর অন্তর হয়। এক বছর পেঁয়াজের ফলন ভাল হলে ফসল নষ্ট হয়। কৃষক দাম পান না। পরের বছর তাঁরা কম ফসল ফলান। ফলে যোগানে টান পড়ে। এই ভাবে চক্রাকারে বিষয়টি চলতে থাকে। তবে এখন দেখার রফতানি বন্ধ করার পর পেঁয়াজের চাহিদা আর যোগান ঠিকঠাক হয় কি না।
আরও পড়ুন: পুলিশ রাজ! ওয়ারেন্ট ছাড়াই তল্লাশি ও গ্রেফতার করতে বিশেষ পুলিশ বাহিনী গঠন যোগীর