যোগীর রাজ্যে ফের উদ্ধার দলিত নাবালিকার ক্ষতবিক্ষত দেহ , ধর্ষণ হয়েছে, বলছে পরিবার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

সিবিআই তদন্তের নির্দেশ ছাড়া হাথরাস কাণ্ডে নতুন কিছু হয়নি। বলরামপুরের নির্যাতিতার পরিবার এখনও বিচার পায়নি। এরই মধ্যে কানপুর দেহাত (Kanpur) এলাকায় ফের দলিত নাবালিকার সঙ্গে নৃশংসতা। ধর্ষণ করে খুন! এবং শেষে দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ। ফের প্রশ্নে উত্তরপ্রদেশের নারী নিরাপত্তা।

স্থানীয় সূত্রের খবর, গত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে উত্তরপ্রদেশের কানপুর দেহাত জেলার ওই নাবালিকা নিখোঁজ ছিল। পরিবারের দাবি, তাঁরা পুলিশে খবরও দিয়েছিলেন। কিন্তু গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তাঁরা নাবালিকার সন্ধান করতে পারেনি। শনিবার একটা ফাঁকা মাঠে টুকরো টুকরো অবস্থায় ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। দেহাংশগুলি সংগ্রহ করে অটোপসির জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, খুন করার আগে তাঁদের মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : হাথরসে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে রাহুল-প্রিয়ঙ্কার সাক্ষাতের পরই ময়দানে নামল সিবিআই

ইতিমধ্যেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মৃতার পরিবার জানিয়েছে, পরিবারেরই কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল তাঁদের। বিবাদের জেরে ওই নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণ এবং খুন করার হুমকিও দিয়েছিল অভিযুক্তরা। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিল ওই নাবালিকা। প্রশ্ন হল, নিখোঁজ হওয়ার এক সপ্তাহ পরও নাবালিকার কোনও খোঁজ পুলিশ কেন দিতে পারল না?

বুধবারই কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi) অভিযোগ করছিলেন, উত্তরপ্রদেশে নারী নিরাপত্তার চিহ্নমাত্র নেই। কংগ্রেস নেত্রী যে নেহাতই ভ্রান্ত অভিযোগ করেননি, তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল। এমনিতেই উত্তরপ্রদেশ মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধের নিরিখে দেশের মধ্যে শীর্ষে। এর মধ্যে মাত্র কয়েকদিনের  ব্যবধানে এতগুলি ধর্ষণের ঘটনা!

গেরুয়াধারী মুখ্যমন্ত্রীর রাজত্বে যেভাবে দলিত মেয়েদের ওপর হিংসার ঘটনা ঘটছে তাতে মনে হচ্ছে সত্যিই এখানে রামরাজত্ব দরকার। কারণ রাজ্যজুড়ে রাবনদের আস্ফালন। কেবল রামের স্ট্যাচু বানালে হবে না। তাঁর আদর্শকে গ্রহণ করতে হবে। কেবল গেরুয়া ধারণ করে ভোট চাইলে হবেনা, মানুষের নিরাপত্তা দিতে হবে। কেবল হিন্দু-মুসলিম রং নাম্বার সাধারণ মানুষের মনে ঢুকিয়ে দিলে চলবে না। অজয় বিস্ট(যোগী) সরকারকে তা বুঝতে হবে। তা না হলে পুলিশ বাহিনী পাঠিয়ে কতদিন দিন নিপীড়িতদের আওয়াজ দাবিয়ে রাখা যাবে?

এখনই ইউপিতে ভোট নেই। ফলে ততটাও চাপে নেই বিজেপ। পরে না হয় জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে সব জল হয়ে যাবে। ভাবছেন বিজেপির নেতারা। সেই সময় পাকিস্তান কিংবা চীন অথবা কাশ্মীর কিছু একটা ঠিক পাওয়া যাবে। কিছু না হলে মোদীজি কিভাবে মাশরুম খেয়ে এমন চাঙ্গা থাকেন তা দেখিয়ে দেবে টিআরপিওয়ালা মিডিয়া।

আরও পড়ুন : ‘যতই রাম মন্দির হোক, উত্তরপ্রদেশে জঙ্গলের রাজত্ব চলছেই’, কটাক্ষ শিব সেনার

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest