হাথরস নিয়ে খবর, জেলবন্দি সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এ বার সন্ত্রাস মামলা দায়ের যোগীরাজ্যে

গত বছর অক্টোবর মাসে উত্তরপ্রদেশের হাথরসে এক দলিত কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশে।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে যুক্ত থাকার অভিযোগে হাথরস কাণ্ড নিয়ে খবর করতে যাওয়া সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল উত্তরপ্রদেশে। তাঁর বিরুদ্ধে ৫ হাজার পাতার চার্জশিট দায়ের করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তাতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ), তথ্যপ্রযুক্তি আইন-সহ একাধিক গুরুতর ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ ছাড়াও, তিনি সাম্প্রদায়িক অশান্তি বাধানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।

হাথরস নিয়ে খবর করতে যাওয়ায় সবমিলিয়ে ৭ সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার মধ্যে সিদ্দিক এবং তাঁর সতীর্থ আতিক-উর-রহমান, মাসুদ আহমেদ এবং আলমের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশের দাবি, বাইরে থেকে কিছু লোকের সন্দেহজনক গতিবিধি নিয়ে গোপন সূত্রে খবর পৌঁছেছিল তাদের কাছে। সেই ভিত্তিতেই সকলকে গ্রেফতার করা হয়। সিদ্দিক এবং তাঁর সতীর্থরা উগ্রপন্থী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (পিএফআই)-র সদস্য বলেও দাবি করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: ‘হালাল’ না ‘ঝটকা’ জানাতে হবে গ্রাহককে, নির্দেশ উত্তর দিল্লি পুরসভার

গত বছর অক্টোবর মাসে উত্তরপ্রদেশের হাথরসে এক দলিত কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশে। হাসপাতালে ওই কিশোরীর মৃত্যু থেকে রাতারাতি তার দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া, গোটা ঘটনাক্রমে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে সর্বত্রই। সেই ঘটনা নিয়ে খবর করতে গিয়েই গ্রেফতার হন সিদ্দিকরা। সেই থেকে মথুরা জেলে বন্দি সিদ্দিক। তাঁর আইনজীবী মধুবন দত্ত চতুর্বেদী বলেন, ‘‘৫ হাজার পাতার চার্জশিট। এখনও হাতে পাইনি। সেটি হাতে পেলে তবেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা যাবে।’’

এর আগে ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্টে উত্তরপ্রদেশ সরকার জানায়, কেরলের যে সংবাদপত্রের কর্মী হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়েছেন সিদ্দিক, সেটি দু’বছর আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সাংবাদিক সেজে আসলে জাতি ভিত্তিক বিভাজন তৈরি এবং আইন-শৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটাতেই সিদ্দিক হাথরস যান বলেও অভিযোগ করেছে তারা। তবে এ ব্যাপারে সিদ্দিকের পাশে দাঁড়িয়েছে কেরল ইউনিয়ন অব ওয়ার্কিং জার্নালিস্টস। সুপ্রিম কোর্টে তারা জানিয়েছে, বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে সিদ্দিককে। কোনও প্রমাণ ছাড়াই তাঁকে জেলবন্দি করে রাখা হয়েছে। সিদ্দিক পিএফআই-এর সদস্য বলে যে অভিযোগ এনেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ, তা-ও সর্বৈব মিথ্যা বলে দাবি তাদের।

আরও পড়ুন: জঙ্গলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেহ, ছত্তিশগড়ে মাওবাদী সংঘর্ষে মৃত ২২ জওয়ান, নিখোঁজ বেশ কয়েকজন

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest