অযোধ্যায় রাম মন্দির আন্দোলনের অগ্রণী নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী এবং মুরলী মনোহর যোশী। অথচ ৫ অগস্ট রামমন্দিরের ভূমিপুজোয় ওই নতুন প্রবীণ মুখকে আমন্ত্রণ না জানানো নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল আগেই। অথচ তাদের তৈরি রামমন্দির আন্দোলনই ডিভিডেন্ট দিয়েছে মোদির পার্টিকে।
প্রাথমিকভাবে আমন্ত্রিতের তালিকায়নাম ছিল না আডবাণী, যোশীর । যা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয় দেশে। এই পরিস্থিতিতে চিঠি পাঠিয়ে ও ফোন করে লালকৃষ্ণ আডবাণী ও মুরলী মনোহর যোশীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানিয়েছে মন্দির নির্মাণের জন্য গঠিত ট্রাস্ট। তবে, ওই দুই প্রবীণ নেতা অযোধ্যায় যাচ্ছেন না বলেই খবর।
আরও পড়ুন : অগস্টে মোট ১৭ দিন বন্ধ থাকছে ব্যাঙ্ক পরিষেবা, জেনে নিন কবে কবে…
এই পরিস্থিতিতে আডবাণী ও যোশীর মতো প্রবীণ নেতাদের ভূমিপুজোয় যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। সেই কারণেই তাঁরা ভিডিয়ো কনফারেন্সে অনুষ্ঠান দেখবেন বলে জানা গিয়েছে।
সারা দেশে ইতোমধ্যে ব্যাপকভাবে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বাদ যায়নি অযোধ্যার রাম মন্দিরের জায়গাস্থলও। রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর অনুষ্ঠানেও পড়েছে মারণ ভাইরাসের ছায়া। মন্দিরের এক পুরোহিতের শরীরে ধরা পড়েছে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ। আগামী ৫ অগস্টের ভূমিপুজোতে অংশ নেওয়ার কথা ছিল তাঁর। পাশাপাশি রাম মন্দিরের জায়গাস্থলের ১৬ জন নিরাপত্তা কর্মীরও করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
বাবরি মসজিদ ধ্বংস নিয়ে এখনও প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে আডবাণী ও যোশীকে। গত শুক্রবারই বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় ভিডিয়ো কনফারেন্সে হাজিরা দেন আডবাণী। চার ঘণ্টা ধরে চলে শুনানি। বহু প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় দুই প্রবীণ নেতাকে। দুজনেই অবশ্য দাবি করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং রাজনৈতিক চক্রান্ত।
আডবাণী যদি সেদিন জানতেন, সব ক্ষীর অন্যজন খয়েবে নেবে তাহলে তিনি বোধয় এমনটা করতেন না। বর্তমানে তাঁর অবস্থা পিতামহ ভীষ্মের মত। মোদী ক্ষমতায় আসার পরই বাজপেয়ী জমানার প্রভাবশালীদের মার্গ দর্শক বানিয়ে রিজার্ভ বেঞ্চে বসিয়ে দেন। ফলে বিজেপিতে সর্বেসর্বা হতে তাঁর পথে আর কোনো কাঁটা রইল না। আডবাণী অনুরাগীরা অনেকে আড়ালে বলেন, মোদী চাইলেই এই মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দিতে পারতেন। আস্থায় সুপ্রিম কোর্টে বিচার হল, আর এলাহাবাদ কোর্টে হতে পারে না ?
আরও পড়ুন : ভোটের আগেই ঘরোয়া কোন্দলে জেরবার BJP, শাহের দ্বারস্থ বাংলার ৪ সাংসদ