হাসপাতালে রাখা দেহ খুবলে খাওয়ার চেষ্টা কুকুরের, নিশানায় যোগী-রাজ্যে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

হাসপাতালের সামনে স্ট্রেচারে শোওয়ানো রয়েছে একটি দেহ। শায়িত মরদেহ সাদা চাদরে ঢাকা। আর দু’টি পায়ের ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে সেই স্ট্রেচারে মরদেহ খুবলে যাচ্ছে সারমেয়। উত্তরপ্রদেশের  (Uttar Pradesh) সম্বলের সরকারি হাসপাতালে ঘটে যাওয়া শিহরণ জাগানো এই ঘটনাই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ভিডিও দেখে ক্ষোভে ফুঁসছেন অনেকেই।

বুধবারই আলিগড়ে এক সদ্যজাতের মৃত্যুর পর তার পরিবার অভিযোগ করেছিল, মৃত শিশুর দেহে কুকুর বা বিড়ালের আঁচড়ের চিহ্ন রয়েছে। তার পর প্রকাশ্যে এল এই ঘটনা। যা সামনে আসতেই যোগী-রাজ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে পথদুর্ঘটনায় জখম হয় মেয়েটি। তার বাবা চরণ সিংহ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘‘প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে দেহ হাসপাতালের স্ট্রেচারে ফেলে রাখা হয়েছিল। খুব অবহেলা করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।’’ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাস্তার কুকুর ঢুকে পড়ার ঘটনার কথা স্বীকার করলেও অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করেন।

আরও পড়ুন: Bharat Bandh: কৃষকদের আটকাতে জলকামান -কাঁদানে গ্যাস নিয়ে তৎপর দিল্লি পুলিশ, সীমানায় সিআরপিএফ

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, রাস্তার কুকুর হাসপাতালে ঢুকে পড়ার সমস্যা দীর্ঘ দিনের। স্থানীয় পুরসভা এবং প্রশাসনকে এর আগে চিঠি লিখে জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তারা। যদিও বৃহস্পতিবারের ওই ঘটনার জন্য তাঁদের কোনও দায় নেই বলেও জানিয়েছেন হাসপাতালের চিফ মেডিক্যাল সুপারিনটেন্ডেন্ট। উল্টে মৃতের পরিবারের উপরই দোষ চাপাচ্ছেন তাঁরা।

ওই হাসপাতালের চিকিৎসক সুশীল বর্মা বলেন, ‘‘করণীয় সব কিছু করার পর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরিবার ময়নাতদন্ত চায়নি। তাঁরা দেহ নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। পরিবারের লোকই হয়তো কয়েক মিনিটের জন্য দেহ ফেলে রেখেছিল। তখনই ওই ঘটনা ঘটে।’’ তবে, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক ওয়ার্ড বয় এবং এক সাফাইকর্মীকে সাসপেন্ড করেছে।

আরও পড়ুন: আরব সাগরে ভেঙে পড়ল নৌবাহিনীর MiG-29K বিমান, নিখোঁজ এক পাইলট

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest