সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার রাতে বেঁধে যায় সংঘর্ষ। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বেঙ্গালুরুর একাংশ। পুলিশের গুলিতে মৃত্যুও হয় তিন জনের। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৬০ পুলিশকর্মী। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার রাতে। কংগ্রেস বিধায়ক শ্রীনিবাস মূর্তির ভাইপো নবীন ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন। অভিযোগ, সেই পোস্টটি আপত্তিকর। পোস্টটি ছড়িয়ে পড়তেই হাজার খানেক লোক বিধায়কের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। অভিযোগ, এর পরই বিক্ষোভকারীরা বিধায়কের বাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুড়তে থাকেন। বাড়ির সামনে রাখা বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন তাঁরা। বিধায়করের বাড়ির রক্ষীকেও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: মনে জোর রাখুন! এই প্রথম বার ভারতে করোনায় মৃত্যুহার নেমে এল ২% নীচে
যে সময় এই ঘটনাটা ঘটে সে সময় বিধায়ক বাড়িতে ছিলেন না। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ডিজে হাল্লি ও কেজি হাল্লি থানার পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশকে দেখামাত্রই বিক্ষোভকারীরা তাদের দিকে তেড়ে যান। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুড়তে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। অভিযোগ, থানায় গিয়েও হামলা চালান বিক্ষোভকারীরা। পুলিশকর্মীদের মারধর, এমনকি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেন তাঁরা।
Shoot at sight #Bengaluru is burning
Horrible videos and images https://t.co/zvNEN26qEz— Dr Abhishek Sharma (@DrABshek) August 11, 2020
এর পর বিশাল পুলিশবাহিনী ওই এলাকায় পৌঁছয়। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় গুলি চালায় পুলিশ। তাতেই মৃত্যু হয় তিন জনের। আহত হন ৬০ পুলিশকর্মী।
বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার কমল পন্ত জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পুলিশা জনিয়েছে, বিধায়কের ভাইপোকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। বিধায়ক শ্রীনিবাস মূর্তি এলাকায় শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অত্যন্ত সংকটজনক প্রণব মুখোপাধ্যায়! চিকিৎসায় মিলছে না সাড়া,রাখা হয়েছে ভেন্টিলেশনেই