শুক্রবার দেশের ৮ রাজ্যে ১৯ টি রাজ্যসভা আসনের নির্বাচনের দিকে নজর ছিল গোটা দেশের। যে নির্বাচনে মূলত টক্কর ছিল বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে। এবং দিনের শেষে দেখা গেল, রাজস্থানে গেরুয়া শিবিরকে পিছনে ফেলে দিল কংগ্রেস। এদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশের চারটি আসনই গেল YSR কংগ্রেসের দখলে।
মধ্যপ্রদেশে বাজিমাত পদ্মের ৷ দুই আসনে জয়ী বিজেপি ৷ জিতলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং সুমের সিং সোলাঙ্কি ৷ কংগ্রেসের তরফে জয় পেলেন দিগ্বিজয় সিং।অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভার চার আসনেই জয়ী YSRCP
এদিন বিকেল পাঁচটায় ভোটগণনা শুরু হয়। ১৯ আসনের মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশ ও গুজরাটের ছিল চারটি করে, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে তিনটি করে, ঝাড়খণ্ডে দুটি এবং মণিপুর, মেঘালয় ও মিজোরামে একটি করে আসন। এর মধ্যে গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানেই কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে লড়াইয়ের দিকে নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুন : এবার কি প্রত্যাঘাত? সীমান্তে শুরু ‘এয়ার ডমিন্যান্স’? লাদাখে উড়ছে অ্যাপাশে-চিনুক
দিনের শেষে দেখা যায়, মধ্যপ্রদেশে রাজ্যসভার দুটি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি। যেখানে কংগ্রেসের দখলে আসে একটি আসন। তবে রাজস্থানে বিজেপিকে ব্যাকফুটে ফেলে দুটি আসনে জেতে কংগ্রেস। কেসি ভেনুগোপাল এবং নীরাজ ডাঙ্গি জয়লাভ করেন। একটিমাত্র আসন পায় গেরুয়া শিবির। বিজেপির তরফে রাজেন্দ্র গেহলট জেতেন।
তবে গুজরাটে বিজেপির দুই বিধায়কের ভোট বাতিলের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে কংগ্রেস। এদিকে, ঝাড়খণ্ডের দুটি আসনের মধ্যে একটিতে জয়ী মোর্চা (জেএমএম) নেতা শিবু সোরেন এবং অন্যটি গেল বিজেপির দীপক প্রকাশের দখলে।
উল্লেখযোগ্যভাবে মণিপুরের একমাত্র আসনটি জিতে যায় বিজেপি। যে রাজ্যে তিন মন্ত্রী-সহ ৯ বিধায়ক সমর্থন প্রত্যাহার করায় বুধবার সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছিল বিজেপির জোট সরকার, সেখানে এদিনের জয় বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। তবে সেখানে ভোটগ্রহণ নিয়েও তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে আসা তিন বিধায়কের উপর বিধানসভায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল হাই কোর্ট। তা সত্ত্বেও এদিন স্পিকার তাঁদের ভোট দেওয়ার অনুমতি দেন। তবে পদত্যাগ করা তিন বিজেপি বিধায়ক এদিন ভোট দিতে পারেননি। ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (NPP) জয়ী হয় মেঘালয়ে। তেমনটাই প্রত্যাশা ছিল সকলের।
আরও পড়ুন : চিন নিয়ে মোদির সর্বদলীয় বৈঠকে ডাক পায় নি AAP, RJD, MIM,থাকছে TMC