বিহারে ৫টি আসন জেতার পর এবার অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (AIMIM) গন্তব্য পশ্চিমবঙ্গ। ইতিমধ্যেই বাংলায় ভোটে লড়াইয়ের ঘোষণা করেছেন আসাউদ্দিন ওয়াইসি। কিন্তু কীভাবে লড়াই করবে তারা?
এআইএমআইএমের দাবি, বাংলায় গত ৩ বছর ধরে সংগঠন তৈরি করছে তারা। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ, মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরে সংখ্যালঘুদের মধ্যে এআইএমআইএমের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। দক্ষিণবঙ্গে হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সংগঠন রয়েছে ওয়াইসির দলের।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে AIMIM-এর মুখপাত্র আসিম ওয়াকার বলেন, “বিহারের পর আমাদের টার্গেট বাংলা। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে আমরা লড়ব। গত তিন বছর ধরে আমাদের সদস্যরা এখানে কাজ করে চলেছে। আমাদের সংগঠনও তৈরি। এখন শুধু নেতাদের নাম ঘোষণাই বাকি।”
আরও পড়ুন : সাধারণের ভেতরে অসাধারণত্ব খুঁজে ফেরা আজীবন, শুভ জন্মদিন হুমায়ুন স্যার!
তবে কি বাংলায় সাফল্য পেতে তৃণমূলের হাত ধরতেও রাজি ওয়েইসির দল? এই প্রশ্নের উত্তরে ওয়াকার জানান, তাঁদের তরফ থেকে রাস্তা খোলা। তৃণমূল কংগ্রেস চাইলেই তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে পারে। তবে এ কথাও জানিয়ে দেন, তাঁরা আগামী বছর এককভাবেই লড়াই করতে ইচ্ছুক।
ওয়াকারের কথায়, “আমাদের লড়াই বিজেপির বিরুদ্ধে। আমরা চাই না বাংলার মসনদে পদ্মফুল ফুটুক। তাই তৃণমূলের সঙ্গে জোটের ক্ষেত্রে আমাদের দরজা খোলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি আমাদের সঙ্গে হাত মেলাবেন কি না। নাহলে আমরা একাও লড়তে তৈরি। ঠিক যেমন বিহারে লড়েছি।”
বিহারে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করে বিজেপিকে সুবিধা করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আসাউদ্দিন ওয়াইসির বিরুদ্ধে। তাঁর পাল্টা বক্তব্য, এআইএমআইএম-কে জোটে রাখতে চায়নি। এতে তাঁর করার কিছু নেই।বিহারে ২০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল এআইএমআইএম। ৫টি আসন জিতেছে তারা। তার মধ্যেই ৪টিই উত্তর দিনাজপুর ও মালদহের সীমানায়। ফলে এ রাজ্যের ভোটেও ওয়াইসির দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।
আরও পড়ুন : আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা, ভারতে ফিরছে PUBG, নতুন গেমটি সম্পর্কে যা কিছু জেনে রাখা ভালো