অক্সিজেনের অভাবে ফের মৃত্যুর ঘটনা দিল্লিতে। সেখানকার জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালে শুক্রবার রাতে ২০ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে অক্সিজেনের অভাবে। ওই হাসপাতালের শীর্ষস্তরের এক আধিকারিক শনিবার এই ঘটনার কথা জানিয়েছেন। অক্সিজেনের অভাব দিল্লিতে কী ভয়ঙ্কর অবস্থা তৈরি করেছে, তা ফের সামনে আনল এই ঘটনা।
জয়পুর মেডিক্যাল হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডি কে বালুজা বলেছেন, ‘‘সরকারের তরফে আমাদের হাসপাতালের জন্য ৩.৫ মেট্রিক টন অক্সিজেন বরাদ্দ করা হয়েছে। সেই অক্সিজেন শুক্রবার বিকাল ৫টার মধ্যে আসার কথা ছিল। কিন্তু তা এসে পৌঁছয় মধ্যরাতে। ততক্ষণে ২০ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের তুলনায় ভ্যাকসিন কিনতে বেশি টাকা লাগবে রাজ্যর! এখন কি ব্যবসার সময়- মোদীকে প্রশ্ন বিরোধীদের
ওই হাসপাতালে অন্তত ২২৫ জন কোভিড রোগীর অবস্থা সঙ্কটজনক। তাঁদের সব সময়ের জন্য অক্সিজেন দরকার বলেও জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। যদিও ওই সব রোগীকে পর্যাপ্ত সরবরাহ করার মতো অক্সিজেন মজুত নেই বলে জানান তিনি।
এর আগে দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে ২৫ জন রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল। দিল্লির অধিকাংশ হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাব প্রকট। শনিবার সকালে মূলচাঁদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল এবং দিল্লির উপ রাজ্যপাল অনিল বৈজলের উদ্দেশে। সেই জরুরি বার্তার বিষয় অক্সিজেনের অভাব। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘জরুরি সাহায্য দরকার। যা অক্সিজেন মজুত রয়েছে, তা দিয়ে ২ ঘণ্টাও চলবে না। অথচ ১৩৫ জন রোগীর অবস্থা সঙ্কটজনক’।
রোগী মৃত্যুর পরই সাহায্যের জন্য দিল্লি হাইকের্টের দারস্থ হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আদালতে জমা দেওয়া আর্জিতে বলা হয়, “আগামী কয়েক মিনিটের মধ্যেই মানবসঙ্কট দেখা দেবে আমাদের হাসপাতালে। আমরা ইতিমধ্যেই ২৫টি প্রাণ হারিয়ে ফেলেছি। অক্সিজেনের জন্য আমরা সবরকমের চেষ্টা চালাচ্ছি। আমাদের চিকিৎসকেরা আপনাদের সামনেই রয়েছে। দয়া করে প্রাণগুলি বাঁচাতে সাহায্য করুন।”
আরও পড়ুন: জার্মানি থেকে আসছে ২৩টি অক্সিজেন উৎপাদক ভ্রাম্যমাণ প্ল্যান্ট