দাড়ি না কাটার জেরে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। আবেদন করেও লাভ হয়নি। এর ফলে শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে দাড়ি কেটে তবে চাকরি ফিরে পাচ্ছেন উত্তরপ্রদেশের সাব ইনস্পেক্টর ইন্তেজার আলি। রবিবার একটি নোটিস জারি করে তাঁকে কাজে পুর্নবহাল করার কথা জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
গত ২০ অক্টোবর বাগপত জেলার রামলালা থানার সাব ইনস্পেক্টর ইন্তেজার আলীকে সাসপেন্ড (suspend) করা হয়েছিল। পুলিশ সুপার অভিষেক সিং তাঁকে তিন বার দাড়ি কাটার কথা বললেও গুরুত্ব দেননি তিনি । এরপরই অনুমতি ছাড়া দাড়ি রাখার জেরে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। বর্তমানে নিজের পুরনো অবস্থান থেকে সরে দাড়ি কাটতে রাজি হওয়ার পরেই তাঁকে ফের চাকরিতে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : Durga Puja 2020: দশমীতে নীলকণ্ঠ পাখি দর্শনের পিছনে রয়েছে পৌরাণিক উপাখ্যান, আপনার জানা আছে কী?
এপ্রসঙ্গে বাগপত জেলার পুলিশ সুপার অভিষেক সিং বলেন, ‘ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে দাড়ি রাখার জন্য বাগপত জেলার এক সাব ইনস্পেক্টর ইন্তেসার আলিকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। আজ তিনি আমার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন যে পুলিশ ম্যানুয়াল মেনে তিনি দাড়ি কাটতে রাজি আছেন। তাই সাসপেনশন প্রত্যাহার করে তাঁকে ফের কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে।’
যোগী অবশ্য সর্বদায় নিজেকে মুসলিম বিদ্বেষী হিসাবে প্রকাশ্যে চিহ্নিত করতে চান। তিনি তার ভক্তদের বুঝিয়ে দিতে চান ,মুখ্যমন্ত্রী হলেও তিনি একই জায়গাতেই আছেন। সংখ্যালঘুদের সম্পর্কে তিনি যে বিদ্বেষ পোষণ করেন, তার থেকে তিনি সরে আসেননি। যোগীরা ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র নয় বরং গেরুয়া রাষ্ট্রে প্রিন্ট করতে চাই। সনাতন ধর্মের সঙ্গে এদের আস্ফালন ও হুঙ্কারের কোনও সম্পর্ক নেই। এরা দলিদের মুসলিমদের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তুলবে। কিন্তু তাদের মর্যাদা দিতে আরএসএসের বেজায় কষ্ট। কেবল কয়েটা পোস্টারবয় বয় তারা টিমে রাখবে। আর সগর্বে বলবে, তারা দলিতদের কতটা মর্যাদা দেয়। সেই দলিত নিজের স্বার্থে ওদের কর্মদাস হয়ে থাকেন। না এখানে রাষ্ট্রপতির কথা বলা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন : চিকিৎসায় বিশেষ সাড়া দিচ্ছেন না সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়