সামশুল আলম
বাঙালি মানেই খাদ্যরসিক। উত্তরবঙ্গ হোক অথবা দক্ষিণবঙ্গ, প্রায় ৬২৩ কিলোমিটারের মধ্যে পাত পেড়ে চুটিয়ে খাওয়া বাঙালির জনঘনত্ব অনেক বেশি। কথায় আছে যে ‘ঝালে-ঝোলে-অম্বলে’ বাঙালি। তবে ‘মিছিল নগরী’ কলকাতায় খাদ্যরসিকের সংখ্যা হয়তো সর্বোচ্চ।
শরীর-স্বাস্থ্য এই রসিকতা খুব একটা সইতে আগ্রহী নয়। তাই অজান্তেই শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে নানান রকমের ব্যাধি। ধীরে ধীরে অ্যাসিডিটি-বদহজম- বমিভাব – বায়ুরোগ ইত্যাদি আবির্ভূত হতে থাকে। ব্যাস, এমনি খাদ্যের উপরে লাগাম টানতে শুরু করে খাদ্যরসিকের দল। তবে এক্ষেত্রে পরিচিত ভেষজ উদ্ভিদ ব্যবহার করে ও কিছু ঘরোয়া উপায়ে অনেক ক্ষেত্রে রোগ নিরাময় সম্ভব।
আরও পড়ুন: পরিষ্কার রাখা থেকে মাড়ির যত্ন; সাত উপায়ে রোজ যত্ন নিন আপনার দাঁতের
কথায় বলে গাছ-গাছরা কথা বলে। প্রকতি মানুষকে সুস্থ থাকার জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ এইসব ভেষজ দিয়েছে আমাদের। কিন্তু আমরা তার কদর বুঝছিনা। সাইড ইফেক্ট রয়েছে এমন ওষুধ মুড়ি মুড়কির মত গিলছি। অথচ আমাদের হেঁসেলে যেসব জিনিস রয়েছে, তাই দিয়েই আমরা ভালো থাকতে পারি।
এক পলক দেখে নিন এই জিনিসগুলি
১- পাতি বা কাগজী লেবুর রস এক গ্লাস জলে মিশিয়ে সকালে খেলে অথবা ভাতের সাথে লেবুর আচার খেলে অরুচি সারে।
২- হরীতকী, ডাবের জল, তরমুজ বা শশা অম্লরোগে বিশেষ কার্যকর।
৩- রসুন হজমে সহায়তা করে ও বায়ুরোগে উপকারী।
৪- সকালে খালি পেটে তুলসী পাতার রস খেলে উপকার হয়।
৫- চিনি ছাড়া লাল চা খাওয়া ভালো।
৬- ঘোল, দই খাওয়া খুবই কার্যকরী।
৭- সর্পগন্ধার মূলের রস অথবা শালুকের বীজের ক্কাথ পেটের ব্যথা কমায়।
৮- পুদিনা পাতা বায়ুরোগের সমস্যায় উপকারী।
৯- খাবার পরে আদা কুঁচি চিবিয়ে খাওয়া ভালো।
১০- সকালে ঘুম থেকে উঠে দুই গ্লাস জল খেলে হজমশক্তি বাড়ে।
আরও পড়ুন: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে ওজন কমানো! একাধিক গুণে ভরপুর মটরশুঁটি, জানুন…