‘ভারতে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিপন্ন’, রিপোর্ট মার্কিন কমিশনের, মানতে নারাজ দিল্লি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ওয়াশিংটন: ভারতে সংখ্যালঘুরা বিপন্ন বলে তাদের রিপোর্টে জানাল ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত দ্বিদলীয় মার্কিন কমিশন। শুধু সেখানেই থেমে থাকেনি তারা, ভারতীয় সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন পাশ করানোর প্রসঙ্গে ওই মার্কিন কমিশনের রিপোর্টে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ভূমিকারও সমালোচনা করা হয়েছে।এই মার্কিন কমিশনের পুরো নাম–ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (USCIRF)। 

মার্কিন কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতকে নিয়ে বিশেষ উদ্বেগের কারণ রয়েছে। কারণ, ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের ব্যাপারে যে ধরনের ঘটনা ঘটছে তা দেখেও সরকার কখনও চুপ করে রয়েছে, কিংবা সরকারই সে সব ঘটনায় জড়িয়ে যাচ্ছে।মার্কিন রিপোর্টে স্পষ্টতই বলা হয়েছে যে, ২০১৯ সালের ভোটে পুনরায় জিতে আরও সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠনের পর বিজেপি জাতীয় স্তরে এমন সব নীতি নিচ্ছে, যাতে সংখ্যালঘু বিশেষ করে মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিপন্ন হচ্ছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার হচ্ছে, তাদের হেনস্তা করা হচ্ছে।

রিপোর্টে এর পরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর প্রসঙ্গ টানা হয়েছে। ভিনদেশি অনুপ্রবেশকারী শ্রমিকদের তিনি যে উঁইপোকা বলে মন্তব্য করেছিলেন, তার সমালোচনা করা হয়েছে রিপোর্টে। সেই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কথাও বলা হয়েছে। যোগী বলেছিলেন, যাঁরা নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছেন তাঁদের বিরিয়ানি নয় বুলেট খেতে হবে। সেই মন্তব্যের সমালোচনা করা হয়েছে রিপোর্টে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লিতে তিন দিন ধরে হিংসা চলেছে। মুসলিমদের আক্রমণ করা হয়েছে সেই হিংসায়। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, সেই হামলা বন্ধ করতে শুরুতে পুলিশ সক্রিয় ছিল না। বরং অভিযোগ, কোথাও কোথাও হামলাকারীদের ইন্ধন দিয়েছে পুলিশ।

আমেরিকার আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশনের (USCIRF) প্যানেল প্রস্তাব দিয়েছে, ভারতকে ‘বিশেষ উদ্বেগজনক দেশ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হোক। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ধর্মীয় স্বাধীনতায় বাধা দেওয়া এবং বর্তমানে সেই রকম কাজ প্রশ্রয় দিচ্ছে ভারত সরকার।

আরও পড়ুন: এক দিনে মৃত্যুতে রেকর্ড, ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩১ হাজার ছাড়াল

প্রসঙ্গত, USCIRF রিপোর্টে ভারত-সহ মোট ১৪টি দেশকে সংখ্যালঘু পীড়নের ভিত্তিতে ‘বিশেষ উদ্বেগজনক’ হিসেবে চিহ্নিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তালিকায় রয়েছে মায়ানমার, চিন, এরিট্রিয়া, ইরান, উত্তর কোরিয়া, পাকিস্তান, সৌদি আরব, তাজিকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তান। শুধু চিহ্নিত করাই নয়, কমিশনের রিপোর্টে ভারত সরকার ও তার অধীনস্থ সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। যদিও সেই সমস্ত প্রস্তাব ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন আদৌ গ্রহণ করবে কি না, সে সম্পর্কে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত রিপোর্টে ভারত সম্পর্কে আমেরিকার দাবি ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও প্রতিক্রিয়াশীল’। মঙ্গলবার ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনস্থ কমিশনের রিপোর্টের জেরে এমনই মন্তব্য করল নয়াদিল্লি।আমেরিকান কমিশনের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘USCIRF রিপোর্টে ভারত সম্পর্কে যে মন্তব্য করা হয়েছে, তা আমরা অস্বীকার করছি। ওই রিপোর্ট পক্ষপাতদুষ্ট ও প্রতিক্রিয়াশীল, যা ভারতের কাছে নতুন নয়। তবে এবার তা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে।’

আরও পড়ুন: প্রয়াত ইরফান খান, শেষ হল কঠিন লড়াই

Gmail 3

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest