ওয়েব ডেস্ক: গত মাসে দিল্লি হিংসার একপেশে খবর সম্প্রচারের অভিযোগ। আর তাই কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের রোষের মুখে পড়ল কেরলের দুই সংবাদচ্যানেল। শুক্রবার এশিয়ানেট নিউজ এবং মিডিয়া ওয়ান টিভিকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার জন্য খবর সম্প্রচার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে। সন্ধ্যে সাড়ে সাতটার পরই বন্ধ হয়ে যায় চ্যানেল দুটি।
কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের অভিযোগ ছিল, এশিয়ানেট নিউজ এবং মিডিয়াওয়ান টিভি ১৯৯৪–এর কেবল টিভি নেটওয়ার্ক আইন ভেঙেছে। ওই আইন অনুযায়ী, কোনও ধর্মীয় স্থানে হামলা বা হিংসাত্বক কার্যকলাপে বা ধর্মীয় হিংসায় উসকানি দিতে পারে এমন কোনও খবর সম্প্রচার করতে পারে না। কেন্দ্রের অভিযোগ, এই দুটি চ্যানেলই সেই গাইডলাইন মানেনি।
যদিও বিরোধীরা পাল্টা দাবি করেন, ওই চ্যানেলদুটি সরকার বিরোধী খবর সম্প্রচার করায় কেন্দ্রের রোষের মুখে পড়েছে। এশিয়ানেট নিউজ সরাসরি দিল্লির হিংসার জন্য কেন্দ্র এবং হিন্দুত্ববাদীদের দায়ী করেছে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসের জেরে বন্ধ আমদানি, বাজার থেকে উধাও হচ্ছে প্যারাসিটামল
মিডিয়া ওয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এই হিংসার জন্য সরাসরি দিল্লি পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করেছে তারা। এছাড়াও এই দুটি চ্যানেলই একটি ধর্মীয় স্থানে হামলার খবর সম্প্রচার করেছে।
এরপরই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে মিডিয়া ওয়ান টিভি। চ্যানেলটির সম্পাদক জানিয়েছেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং নিন্দনীয়। তাঁরা এই অগণতান্ত্রিক এবং বেআইনি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাচ্ছেন। যদিও শেষপর্যন্ত নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসল কেন্দ্র। কিন্তু প্রশ্ন উঠছেই, সরকারি বিরোধী খবর প্রকাশ করলেই কী এভাবে সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হবে?
আরও পড়ুন: একঝাঁক দুর্দান্ত ফিচার-সহ ভারতে এল Realme 6 ও Realme 6 Pro
বিতর্ক শুরু হতেই অবশ্য কেন্দ্রের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক ৪৮ ঘণ্টা পূরণের আগেই মালয়ালি নিউজ চ্যানেল দুটির উপর থেকে ব্যান তুলে নেয়। এশিয়ানেট নিউজের উপর থেকে রাত দেড়টায় ব্যান তুলে নেওয়া হয়। যেখানে মিডিয়া ওয়ানের উপর ব্যান ওঠে সকাল সাড়ে ৯ টা নাগাদ। সূত্রের খবর, দুই চ্যানেলের তরফেই মন্ত্রকে লিখিতভাবে ব্যান তুলে নেওয়া আবেদন জানানো হয়। তারপরই ব্যান তুলে নেয় কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক।