দাউদের বাড়ি করাচির ক্লিফটনে, ডনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কবুল ইসলামাবাদের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ভারতের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ অপরাধী তথা সন্ত্রাসবাদী দাউদ ইব্রাহিম যে করাচিতেই থাকে অবশেষে তা মেনে নিল পাক সরকার।এখন পাক কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে নিয়েছে যে দাউদ ইব্রাহিমের বাড়ি করাচির ক্লিফটন এলাকায়। সৌদি মসজিদ এলাকার ‘হোয়াইট হাউজে’ সে থাকে।

ওসামা বিন লাদেনের পাকিস্তানে থাকার কথা কখনওই স্বীকার করেনি পাকিস্তান। শেষপর্যন্ত মার্কিন নেভি সিল-রা পাকিস্তানের মাটিতেই তাকে মেরে লাশ নিয়ে যাওয়ার পর তা গিলতে বাধ্য হয় পাক সরকার। তেমনি দাউদ ইব্রাহিমের পাকিস্তানে থাকার কথা কখনওই স্বীকার করেনি। তবে এবার পরোক্ষভাবে কবুল করতে বাধ্য হল ইমরান খান সরকার।

আরও পড়ুন : করোনা আশঙ্কা করছেন? হোয়াটসঅ্যাপ করলেই বাড়িতে এসে টেস্ট করবে পুরসভা

রাষ্ট্রসংঘের জঙ্গি তালিকায় রয়েছে পাকিস্তানের ৮৮ জঙ্গির নাম। আন্তর্জাতিক চাপে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে বাধ্য হয়েছে পাক সরকার। গত ১৮ অগাস্ট জারি করা নিষেধাজ্ঞায় নাম রয়েছে মুম্বই বিস্ফোরণের মূল কারিগর দাউদ ইব্রাহিমেরও। ফলে ঘুরপথে পাকিস্তান স্বীকারই করে নিল, ডি-কোম্পানি প্রধান দাউদ ইব্রাহিম রয়েছে পাক মাটিতেই।

পাকিস্তান যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তার বলে দাউদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে পাক সরকার। ওই নিষেধাজ্ঞায় দাউদের পাসপোর্ট নম্বর, একাধিক ঠিকানার উল্লেখ রয়েছে। পাকিস্তানের একাধিক ঠিকানা দিয়ে দাউদ অন্তত ৫টি পাসপোর্টে করিয়েছে দাউদ।

ইমরান প্রশাসনের দাবি, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা যথেষ্ট পদক্ষেপ করেছে। নয়া নিষেধাজ্ঞার ফলে আপাতত তালিকায় থাকায় সংগঠন বা ব্যক্তিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হবে। ফলে সেগুলি থেকে কোনও আর্থিক লেনদেন করতে পারবে না তারা।

ভারত বরাবরই বলে আসছে করাচির ক্লিফটন এলাকায় থাকে দাউদ ইব্রাহিম। এছাড়াও করাচির নুরবাদেও রয়েছে তার আস্তানা। যে ৮৮ জঙ্গির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পাক সরকার বাধ্য হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে হাফিজ সইদ, জাকিউর রহমান লকভি, মাসুদ আজহারও।

৯৩ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্যান্য সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে অন্যতম অভিযুক্ত ছিল দাউদ ইব্রাহিম। তখন থেকেই ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় সে। পরবর্তী কালে তাকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী বলেও ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান কখনওই স্বীকার করেনি যে দাউদকে তারা আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। বরং ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে নয়াদিল্লি অতীতে যতবার দাউদের প্রসঙ্গ তুলেছে, ততবারই ইসলামাবাদ জানিয়েছে এই তথ্য ভ্রান্ত। দাউদ পাকিস্তানে থাকেই না।

আরও পড়ুন : বাবরি ধ্বংসে আডবানি-সহ BJP নেতাদের বিরুদ্ধে রায় দিতে হবে সেপ্টেম্বরের মধ্যে : সুপ্রিম কোর্ট

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest